খুলনা: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আচারের মধ্য দিয়ে সারা দেশের ন্যায় খুলনায়ও শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গাপূজা। খুলনা শাহপুর বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে খরসংগ কালার বটতলা সর্বজনীন পূজা মন্দিরে ১৪৭ বছর পূর্তিতে ১৪৭ টি প্রতিমা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।
খরসংগ কালার বটতলা সর্বজনীন পূজা মন্দিরে সহ সভাপতি নাথুরাম সাহা স্মরণে ১৮৭৭ সালে স্থাপিত ১৪৭ বছরের পুরনো ঐতিহ্য উপলক্ষে হিন্দু সম্পদায়ীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু হয়েছে।
এবার ৫ দিন ব্যাপী দোলায় আগমন ও ঘোড়ায় গমনের মধ্য দিয়ে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে বলে জানা গেছে।
প্রতিমা শিল্পী (ভাস্কর) রং তুলি দিয়ে আঁচড়ে দেবী দূর্গা প্রতিমাকে আকর্ষণীয় করেছেন। তিন মাসে চার জন ভাস্কর অক্লান্ত পরিশ্রমে দেবদেবীর ১৪৭ প্রতিমা তৈরি করেছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাৎসব উপলক্ষে মন্দিরের ভিতর বাইরে গেইট, প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা করা হয়েছে। নরম কাঁদা-মাটি দিয়ে শিল্পীর ছোঁয়ায় তিলে তিলে গড়ে তোলা দেবী দূর্গা-সহ ১৪৭ টি প্রতিমার সুদর্শন করে আকর্ষণীয় করেছেন।
পূজায় ঘুড়তে আসা দর্শনার্থী অধ্যাপক গোপালচন্দ্র সরকার বলেন, বিশেষ করে হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের রামায়ণ এর বিশেষ কিছু চিত্র তোলে ধরে ১৪৭ টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিমাগুলো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছে।
রিতা রানী দে বলেন, আমরা এখানে প্রতিমা দেখতে এসেছি আমাদের অনেক ভালো লাগছে। খুলনায় এত প্রতিমা অন্য মন্ডপে আমরা এখনো দেখিনি। আমরা এখানে এসে এত প্রতিভা দেখে আমরা অনেক খুশি।
খরসংগ কালার বটতলা সর্বজনীন পূজা মন্দিরের পুরোহিত তপন ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবারের তুলনায় এবার দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই মন্ডপে ভিড় জমাচ্ছে। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে এখানে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলেই আনন্দ উচ্ছ্বাসিত মনে প্রতিমা দেখতে আসছেন।
মন্দির কমিটির কোষাধক্ষ সুব্রত সরকার বলেন, গত তিন বছরে খুলনার কোন মন্দিরে এত প্রতিমা তৈরি হয়নি। যেটা আমরা করেছি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহ সকলের সহযোগিতা শান্তিপূর্ণভাবেই পূজা উদযাপন করছি। এখানে কোন বিশৃঙ্খলা নেই।
এসএস