কক্সবাজার: পেকুয়ায় শিক্ষক আরিফ হ'ত্যাকা'ণ্ডের অন্যতম মূল হোতা রুবেলকে গ্রে'ফতার করেছে র্যাব।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩ টা ৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরের আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে তাকে গ্রে'ফতার করা হয়।
গ্রে'ফতারকৃত রুবেল চাঁদপুর সদর উপজেলার চরপুরচণ্ডী গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুল্লাহ খানের জ্যেষ্ঠ পুত্র।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় পেকুয়ার চৌমুহনী থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফায়ার সার্ভিসের সামনে আরিফকে ৮-৯ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে অপহরণ করে বলে দাবি করেছিলেন তার স্ত্রী মেহেবুবা আনোয়ার লাইজু।
চট্টগ্রাম মহানগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে আরিফের স্ত্রী দাবী করেন, জায়গা-জমির বিরোধ নিয়ে তাদের কোণঠাসা করতে ও মুক্তিপণ আদায় করতে তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণের পর অজানা ব্যক্তিরা তার শাশুড়ির মোবাইল ফোনে কল করে আরিফকে জীবিত ফিরে পেতে হলে প্রথমে ২০-২৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দফায় ৩৫-৬০ লাখ টাকা এবং সবশেষ ৩ অক্টোবর ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল।
লাইজু বলেন, ‘বেশি টাকা না থাকায় স্বামীকে বাঁচিয়ে রাখতে নগদ পেমেন্টের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকার দেই। এ ব্যাপারে থানাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও করা হয়েছিল।’
এদিকে, শিক্ষক আরিফকে অপহরণে জড়িত রয়েছেন সন্দেহে কয়েকশ লোক পেকুয়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘অপহরণের দীর্ঘদিন পর আজ নিজ বাড়ির পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় শিক্ষকের বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত পুকুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শিক্ষকের মরদেহটি উদ্ধার করে। নিহত আরিফ পেকুয়া সদরের মাতব্বরপাড়ার মৃত বজল আহমদের ছেলে এবং পেকুয়া সেন্ট্রাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক।
এসআই