Menu
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের দুধনই গ্রামে ভিমরুলের কামড়ে বাবা মাওলানা আবুল কাশেম (৫০) এর মৃত্যুর পর মেয়ে লাবিবা আক্তার (৮) ও ছোট ছেলে সিফাইয়েতুল্লাহর (৫) মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুধনই এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় দুধনই ঈদগাহ মাঠে বাবা, মেয়ে ও ছেলের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম।
নিহতের ভাতিজা জিয়াউর রহমান বলেন, বন্যা হওয়ায় বাড়ী কিছু লাকড়ি রাস্তার উঁচু জায়গায় রুদ্রে শুকাতে দিয়ে আসছিল আমার চাচা। সকালে ১০ টার দিকে এসব লাকড়ি আনার জন্য যাইতেছিলেন চাচার ছোট ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে, রাস্তার যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে বাশেঁর ঝাড়ে নৌকা আটকে যায়, আর এই বাশেঁর ঝাড়ে ছিলো ভিমরুলের চাক। চাচা নৌকা ছুটানোর জন্য ব্যস্ত ছিলো, আর আমিও কাছাকাছি ছিলাম। চাচাকে বলছি চাচা আপনার নৌকা যে জায়গায় আটকাইছে এইনে তো ভিমরুলের চাক। পরে চাচা তার দুই ছেলে মেয়েকে নিজের বুকের নিছে নিয়ে নৌকার মাঝে শুয়ে ছিলেন। অন্যদিকে শত শত ভেমরুল চাচাকে কামরাতে থাকে।
পরে আমরা চাচা ও তার ছেলে মেয়েকে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই, যাওয়ার পর হাসপাতালের ডাক্তার চাচার অবস্থা বেশী খারাপ দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরন করেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের গেইটের সামনে যাওয়ার সময় দুপুর ১টার দিকে চাচা মারা যায়, আর ছেলে ও মেয়ে দুটিকে ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে রাখেন, মেয়ে লাভিবাকে হাপাতালের চিকিৎসক বিকেল ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন এবং ছেলে সেফাইতুল্লাহও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।
ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার নুসরাত বলেন, অনেক গুলা ভিমরুলের কামরে আবুল কাশেম দুর্বল হয়ে যায় পরে আমরা ছোট ছোট দুই বাচ্ছা সহ সবাইকে ময়মনসিংহ মেডিকেল পাঠাইয়া দিতে চাইলে তার পরিবার আবুল কাশেমকে নিয়ে যায়, বাচ্ছা দুটিকে কিছু ভালো দেখে আমাদের হাসপাতালে রেখে যায়, বিকালের দিকে লাবিবা মারা গেলে পরে ছেলেকে তার পরিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল নিয়ে যায়।
পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুজুরুল হক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের দুধনই গ্রামে তিনজন ভিমরুলের কামড়ে মারা গেছে যাওয়ায় এলাকায় শোক বিরাজ করছে।
এসআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT