লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বাসে গ্যাস ভরার সময় বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রীনলিফ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
সদর থানার ওসি আব্দুল মনাফ বলেন, ‘মাইশা ইকরা ক্ল্যাসিক’ নামের বাসটি ‘ক্ল্যাসিক মেঘনা’ ব্যানারে চলছিল। যানটিতে গ্যাস ভরার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে আরেকজন মারা যান।
এর বাইরে আরও ১৪ জন আহত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতরা হলেন- হৃদয় (১৯), ইউসুফ (৩২) ও সুজন (২৫)।
আহতরা হলেন- সুমন হোসেন, মো. রকি , মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা বাস ও সিএনজির চালক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীণ লাইফ ফিলিং স্টেশনে। এসময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি শুরু করেন। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যায় সিএনজির তিন চালক। আহত হয় অন্তত আরও ২০ জন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন ২০ জনের মতে। এরমধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। আমরা অধিকাংশ রোগীকেই ঢাকা উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।
এমটিআই