পাবনা: মেয়েকে জমি লিখে দেয়ায় বৃদ্ধা মা শাহিদা খাতুন (৬৫) কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা মা বাড়ির সামনে বসে শুধু চোখের পানি ফেলছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের চক মধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বৃদ্ধার মেয়ে মাহফুজা খাতুন একইদিন সাঁথিয়া থানা পুলিশ ও সেনা ক্যাম্পে মৌখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত শাহ আলম উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের চক মধুপুর গ্রামের মৃত মোকছেদ আলমের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃদ্ধা শাহিদা খাতুনের স্বামীর ভিটায় একটি ঘর আছে। তাঁর এক ছেলে ও তিনটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগে। স্বামীর জমির যে অংশটুকু শাহিদা খাতুন পেয়েছিলেন তার সবটুকু তার ছোট মেয়ে মাহফুজাকে লিখে দিয়েছেন। অনেকদিন ধরে ওই মেয়ের কাছেই থাকতেন তিনি। এ নিয়ে ছেলের সাথে বিরোধ দেখা দেয় মায়ের।
মঙ্গলবার বিকেলে বৃদ্ধা মা শাহিদা খাতুন নিজের স্বামীর ভিটায় থাকা ঘরে যান। তখন ছেলে শাহ আলম ও নাতিরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
বৃদ্ধা সাহিদা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ’ছেলে, তার বউ আর নাতিরা এর আগে আমাকে মেরে রাস্তায় ফেলে দিয়েছিল। আমার স্বামীর পেনশনের টাকা দিয়ে ঐ ঘর করা। সে ঘরে আমার জায়গা নেই। এ বয়সে কি কেউ স্বামীর ভিটা ছাড়তে চায়। অথচ ছেলে ও নাতিরা বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না।’
অভিযুক্ত ছেলে শাহ আলম বলেন, ’মা তার সব জমি মেয়েদের লিখে দিয়েছেন। তিনি তার মেয়ের বাড়িতে থাকবেন। আমার বাড়িতে তাঁর কোনো জায়গা নাই।’
এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, ’বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষনিক পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। বৃদ্ধাকে তার ছোট মেয়ে মাহফুজার বাড়িতে রেখে আসা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি আরো বলেন, ‘মুলত জমি নিয়ে মা-ছেলের দ্বন্দ্ব অনেকদিন ধরে। মা তার জমি ছোট মেয়েকে লিখে দিয়েছেন। ছেলেকে কিছুই দেননি। এ নিয়ে বিরোধ হলে মা তার ছেলের নামে মামলাও করেছিলেন বলে জেনেছি। এটা তারা ছেলে মেয়ে, স্বজনরা বসেও সমাধান করতে পারেন।’
এস/এসআই