• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

সোনালী নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন বৃদ্ধা জোবেদা


হাদিউল হৃদয়, সিরাজগঞ্জ অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
সোনালী নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন বৃদ্ধা জোবেদা

নতুন ঘরের সামনে বৃদ্ধা জোবেদা ও সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতিবন্ধী নাতনি আর মেয়েকে নিয়ে কষ্টের সমুদ্রে ৮০ বছরের সেই বৃদ্ধা জোবেদাকে একটি সেমিপাকা রঙিন টিনের ঘর নির্মাণ করে দিলেন সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ‘প্রতিবন্ধী নাতনি আর মেয়েকে নিয়ে কষ্টের সমুদ্রে ৮০ বছরের বৃদ্ধা জোবেদা’ শিরোনামে সোনালী নিউজ অনলাইন ও ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি সিরাজগঞ্জের মানবতার ফেরিওয়ালা মামুন বিশ্বাসের নজরে এলে তিনি ওই পরিবারকে সাহায্যের জন্য একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই টাকার ব্যবস্থা হলে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়।

বৃদ্ধা জোবেদা খাতুন বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর মামুন বিশ্বাস আমার ঘরটি দেখে যায়। তার দুদিন পর থেকেই টিন, সিমেন্টের খুঁটি, কাঠ ও রঙিন টিন নিয়ে এসে ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ঘরের মধ্যেই একটি বাথরুম ও নলকূপের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। এসব পেয়ে আমি অনেক খুশি। এখন আর বৃষ্টি হলে আমার ঘরে পানি ঢুকবে না। শীত কিংবা বর্ষাতে আর কষ্ট করতে হবে না। কখনও ভাবিনি আমার দুই পাগলদের থাকার জন্য নতুন ঘর হবে। এত তাড়াতাড়ি ঘর পেয়ে তিনি সহযোগীদের জন্য দোয়া করেন।

এ প্রসঙ্গে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, বেশ কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে বৃদ্ধ জোবেদা তার প্রতিবন্ধী নাতি ও মেয়েকে নিয়ে খুবই অসহায় জীবন-যাপন করছিল জরাজীর্ণ একটি ঘরে। সেই সংবাদটি দেখার পর সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের ভোগোলমান গ্রামে আসি। তার অবস্থা দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) একটা পোস্ট করলে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ব্যবস্থা হয়। সেই টাকা দিয়ে মুলতঃ এই রঙিন টিনের সেমিপাকা ঘর, বাথরুম ও একটি নলকূপ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, একজন মানুষ একটু ভালো থাকবে সেই জন্য কিন্তু আমাদের চেষ্টা। কয়েকদিন স্থানীয় সেচ্ছাসেবী জিনাহ প্রচুর পরিশ্রম করেছে। আমরাও সার্বিক সহযোগিতা করেছি যাতে জোবেদা খালার শেষ জীবনে যেন একটু পরিবর্তন আসে। একটু ভালো ভাবে, আরামে ঘুমাতে পারে। যার জন্য এ প্রচেষ্টা। জোবেদা খালার মুখে হাসি ফুটিয়েছেন ও রঙিন ঘরে এখন ঘুমাতে পারেন। আর কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি যে সকল ভাই-বোন দেশ এবং দেশের বাহিরে থেকে টাকা পাঠিয়েছেন তাদের প্রতি।  

আইএ

Wordbridge School
Link copied!