• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

হত্যা মামলার হাজিরা দিতে এসে টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র সহিদুর গ্রেপ্তার


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি অক্টোবর ৩১, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
হত্যা মামলার হাজিরা দিতে এসে টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র সহিদুর গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার হাজিরা দিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা শেষে বের হওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি এই মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে তা জানা যায় নি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমেদ জানায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে পরে জানানো হবে তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু জানান, সাবেক মেয়র সহিদুর রহমানের নামে বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। সেই কারণেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে সব কিছু জানানো হবে।

জানা যায়, গত ২৮ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পেয়ে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে বের হয়ে যান। সে সময় বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে মুক্তির চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!