• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন


বরগুনা প্রতিনিধি নভেম্বর ৩, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

বরগুনা: তিন বছরের এক শিশুকে ডেউয়া ফল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে মো. শাহীন (৩৫) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।  একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এই রায় ঘোষণা করেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত শাহীন বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়ন পোটকাখালী গ্রামের মিম আবাসনের মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

রায় ঘোষনার সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিল। জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, একই আবাসনের বাসিন্দা ভিকটিমের মা বরগুনা থানায় ২০২২ সালের ২০ জুন অভিযোগ করেন, শাহীন ও তিনি একই আবাসনে বসবাস করেন। শাহীনের স্ত্রী দুই বছর আগে বিদেশে চলে যায়। বাদীর তিন বছরের মেয়েকে শাহীন আদর করে দোকানে নিয়ে প্রায় সময় চকলেট কিনে দিত। বাদি কিছু মনে করতো না। ঘটনার দিন ২০২২ সালের ১৯ জুন বিকাল সোয়া তিনটায় শাহীন বাদির মেয়েকে ডেউয়া ফল দেওয়ার কথা বলে তার ঘরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাদির মেয়ে পা ফাঁক করে কাঁদতে কাঁদতে শাহীনের ঘর থেকে বের হয়। বাদি তার মেয়ের কাছে কান্না করার কারণ জানতে চায়লে, শিশুটি তার মাকে বলেন, শাহীন ভাইয়া আমাকে ব্যথা দিয়েছে। বাদি ভিকটিমের পরিহিত পাজামা খুলে দেখতে পায় তার মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষণের আলামত ভিকটিমের শরীরে রয়েছে। বাদী ডাক চিৎকার দিলে শাহীন দ্রুত পালিয়ে যায়।

পরে ২০২৩ সালের ২০ জুন বরগুনা থানায় শাহীনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল নোমান ২০২৩ সালের ২৮ জুন শাহীনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এর আগে ভিকটিমের ডাক্তারী ও ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়। বাদি পক্ষে ট্রাইব্যুনালে ৬ জন সাক্ষ্য দেয়।

বাদি বলেন, আমি রায়ে খুশি হয়েছি। তবে আমার মেয়ের কলঙ্ক কোনোদিন মুছে যাবে না। আসামি কোর্ট বারান্দায় বলে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল করব। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আজকাল শিশুরা বিভিন্ন সময় পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়। এই ম্যাসেজটি সবার কাছে পৌঁছলে অপরাধ অনেকটা কমে আসবে।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!