লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কুৎসা রটানোর কারণে মাদরাসাছাত্রী মাইমুনা আক্তারের (১৫) আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা প্ররোচনা মামলায় অভিযুক্ত মো. ওমর রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের জমিদারহাট এলাকা থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ওমর লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় দায়েরকৃত আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামি ও একই উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে।
নিহত মাইমুনা চরলরেন্স গ্রামের আবুধাবি প্রবাসী মো. মামুনের মেয়ে ও উপজেলার আল আরাফা দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
র্যাব ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে একই এলাকার ওমর বিভিন্ন সময় মাইমুনাকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনাটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে ওমর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। একপর্যায়ে মাইমুনাকে নিয়ে ওমর এলাকায় বিভিন্ন কুৎসা রটায়। ২৩ অক্টোবর সকালে মেয়েকে বাসায় রেখে তার মা কেনাকাটার জন্য স্থানীয় করইতলা বাজারে যায়। এরমধ্যে সে ঘরে গলায় ফাঁস দেয়। ওমরের কুৎসা রটানোর ঘটনা সহ্য করতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করে। এর আগে তার মৃত্যুর জন্য ওমরকে দায়ীসহ বিচার দাবি করে চিরকুট লেখে গেছে মাইমুনা। পরে পুলিশ ওই চিরকুটটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একইদিন ছাত্রীর মা বাদী হয়ে কমলনগর থানায় ওমরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে ওমর পলাতক ছিল। তাকে গ্রেপ্তারে আমরা গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। প্রাথমিকভাবে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেইউবি/এসআই