ঠাকুরগাঁও: ভোরে সূর্য উঠার সাথে সাথেই গাছে উঠছেন চাষিরা। সারারাত গাছের আগায় লাগানো হাঁড়িগুলোতে ফোটা ফোটা করে জমা হচ্ছে রস। আর ভোরের সূর্য ওঠার আগেই রসভর্তি মাটির হাঁড়ি গাছ থেকে নামিয়ে টিনের পাত্রে জ্বাল দিয়ে চাষিরা তৈরি করছেন পাটালি গুঁড়। ভোরে গুড় তৈরির এমন মন-মুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন আসছেন দর্শনার্থীরা।
প্রতিবারের মতো এবারো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের বোচাপুকুর গ্রামে শুরু হয়েছে খেজুরের গুঁড় উৎপাদন। এখানকার প্রায় ৭০০ খেজুরের গাছ দুই বছরের জন্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা চুক্তিতে নিয়ে এখন প্রতিদিনি রস আর গুড় বিক্রি করে প্রায় ১২ হাজার টাকা আয় করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী সেলিম।
ভোরের কুয়াশায় ঢাকা মন-মুগ্ধকর এই পরিবেশ দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা।
প্রায় ১০ একর জমিতে গড়ে উঠেছে খেজুরের এই বাগানটি। চলতি মাসের শুরু থেকে সীমিত পরিসরে গুড় বানানোর কাজ শুরু করেছেন নাটোরের লালপুর থেকে আসা ৬ জন চাষি।
বর্তমানে প্রতিদিন ৩০০ টাকা দরে ২০ থেকে ২৫ কেজি গুড় এবং ১০০ টাকা দরে ১০ থেকে ২০ লিটার রস বিক্রি করছেন ব্যবসায়ী সেলিম। শীতের পরিমাণ কম থাকায় রসও কম সংগ্রহ করছেন তারা। তবে শীত যতো বাড়বে গুঁড় উৎপাদনের মাত্রা ততোই বাড়বে, এমন আশা বাগান মালিকের।
ইএল/আইএ