পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আগামী ১৪ নভেম্বর শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের তিনদিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব ও পুণ্যস্নান অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। এ রাস উৎসবের প্রতি বছরের ন্যায় কুয়াকাটায় শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন কুয়াকাটা রাস উৎসব উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাজল বরন দাস। এদিকে রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্দিরের কর্মরত নীহার রঞ্জন মন্ডল জানান, রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। প্যান্ডেল সহ অন্যান্য কাজ চলছে, যাতে আমাদের তীর্থযাত্রীর এখানে আরাম বোধ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। ১৪ তারিখ থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে ১৫ তারিখ সব থেকে বেশি জনসমাগম হবে। বিকালের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গীতা পাঠ, সন্ধ্যারতি, রাস রিলার উপর আলোচনা, কীর্তন অনুষ্ঠান, মঙ্গল আরতি, ১৬ নভেম্বর গঙ্গা স্নানের মধ্য দিয়ে সূর্য উদয়ের সাথে সাথে রাস উৎসব শেষ হবে।
রাস মেলাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকা। নিরাপত্তা নিয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তরিকুল ইসলাম বলেন, গতবছরের চেয়ে এবছর বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। কয়েকটি টিমে ভাগ হয়ে তারা দায়িত্ব পালন সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।
রাস মেলা কমিটির সভাপতি কাজল বরন দাস জানান, আমরা স্থানীয় ও প্রশাসন সহ বিভিন্ন মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছি, আশা করছি সুন্দর ভাবে রাস উৎসব পালন করতে পারবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, এবারের রাস উৎসবে পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ উৎসব এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ র্যাব- সেনাবাহিনী, পুলিশের যৌথ টিম এবং সমুদ্র সৈকতে বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
কুয়াকাটার পৌর প্রশাসক কৌশিক আহমেদ জানান, প্রতি বছরের চেয়ে এবার একটু ভিন্নভাবে রাসমেলা উদযাপন করতে এ আয়োজন। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সার্বিকভাবে সিসি ক্যামেরার আওতাধীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো তদারকি করা হচ্ছে। আশাকরি সুন্দরভাবে উদযাপিত হতে যাচ্ছে এ মেলা।
সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে শনিবার (১৬ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে এই রাস উৎসব। পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী, সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মূল রাস উৎসব।
এসএস