পিরোজপুর: সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে দুই বছরের শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে পিরোজপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যলয়ে লিখিত সংবাদ পাঠ করেন মুক্তা রানী হাওলাদার নামের ওই নারী। মুক্তা হাওলাদার পিরোজপুর সদর উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের মৃত হীরন চন্দ্র হাওলাদারের মেয়ে।
এসময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, পিরোজপুর সদরের বাসিন্দা দিলীপ কুমার সর্বন (৫৫) এর সঙ্গে আমার ২০২১ সালে হিন্দু রীতি অনুসারে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমাদের দাম্পত্য জীবনে একটি ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করে যার নাম দীপ্র সর্পন। আমার ছেলের বয়স দুই বছর হলেও এখনো পিতার পরিচয় দিতে পারি নাই। আমার সন্তান গর্ভে আসার পর থেকে আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা শুরু করে দিলীপ। এমনকি আমার কাছ থেকে সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করেন। এবং পাসপোর্টটি নিয়ে আটকে রেখেছে।
ভুক্তভোগী মুক্তা রানী আরও বলেন, আমার ছেলে গর্ভে থাকা অবস্থায় আমাকে শহরের বিপনী ফার্মেসীর সামনে বসে দীপ্তি সর্বন (আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান) মারধর করে। আমি তখন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। দিলীপ সর্বন আমার ও ছেলের ভরন পোষণ দেয় না এবং ছেলে দীপ্র সর্বনকে অস্বীকার করে। আমার স্বামীর প্রথম ঘরের ছেলের কারনে আমি কোথাও যেতে পারি না, আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমার ছেলের স্বীকৃতির দাবীতে যেখানে অভিযোগ করি সেখান থেকে দিলীপ কুমার সর্বন তার ক্ষমতা আর টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নেয়। সে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং জেলা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সভাপতি। এর কারণে আমি সঠিক বিচার পাই না।
এব্যাপারে অভিযুক্ত দিলীপ কুমার সর্বন সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, ৩৪ মাস আগে ওর (মুক্তা হালদার) এর সঙ্গে আমার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। আগে মামলার রায় হোক তার পরে বলা যাবে দীপ্র সর্বন আমার সন্তান কিনা।
পিরোজপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মো. সোবহান হোসেন জানান, আমার কাছে এমন কোনো অভিযোগ নাই। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএস