বগুড়া : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বাসায় ঢুকে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন ওই বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা ও সুমন রবিদাস।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দুই আসামিকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে হাজির করলে তারা জবানবন্দি দেন। বিচারক বেগম সুমাইয়া সিদ্দিকা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামি অভিন্ন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভাড়া বাড়িতে অনৈতিক কাজে বাধা পেয়ে গৃহবধূকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের মধ্যে একজন মোসলেম উদ্দিন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এদিকে, র্যাব দাবি করেছিলো, তাদের হেফাজতে নিহতের ছেলে সাদ বিন আজিজুর মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তবে পুলিশ বলছে, তাদেরকে স্বীকারোক্তিতে তিনি এমন কিছু বলেননি। পরে পুলিশ হত্যায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। দুপচাঁচিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নাছিরুল ইসলাম ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুব্রত সিং এসব তথ্য দিয়েছেন।
বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আসামি মোসলেম উদ্দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই আদালত মাবিয়া ও সুমনের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। রিমান্ড শেষে রবিবার তাদের আদালতে হাজির করলে তারাও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ ছাড়া র্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সালমার ছোট ছেলে সাদ বিন আজিজুরকে গ্রেপ্তার করেন। তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সাদ দাবি করেছেন, তিনি মায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন।
উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর দুপচাঁচিয়া সদরের জয়পুরপাড়া এলাকায় ‘আজিজিয়া মঞ্জিল’ নামের একটি চারতলা বাসায় নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত উম্মে সালমা দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। আজিজুর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি দুপচাঁচিয়া উপজেলা মসজিদের খতিব এবং ইমাম-মুয়াজ্জিন সমিতির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া তার একটি ট্রাভেল এজেন্সি প্রতিষ্ঠানও আছে।
এমটিআই