কক্সবাজার: কক্সবাজারের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের আরও ৫৬ নাগরিক অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। তারা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন হিন্দু পাড়ায় অবস্থান করছে। এদের মধ্যে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ৪৪ জন ও এক সপ্তাহ আগে ১২ জন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু থানার মেদাই এলাকার নাইও চাকমা বলেন, রাখাইনে রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সরকার বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে বাড়িঘরে থাকতে পারি না। সেখানে ঠিকমত খাবার পাচ্ছি না। অনেকদিন পাহাড়ে লুকিয়ে ছিলাম। প্রাণ বাঁচাতে আমরা চাকমা সম্প্রদায়ের ১১ পরিবারে ৪৪ জন সদস্য আশ্রয় নেওয়ার জন্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছি।
রাখাইনের মেদাই থেকে আসা বাবুল বড়ুয়া বলেন, এক সপ্তাহে আগে মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু এলাকার মেদাই গ্রামে চলমান সংঘাতের কারণে পালিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে চলে আসলাম। সকালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা চাকমা সম্প্রদায়ের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হিন্দু পাড়া ক্যাম্পের পাশে অবস্থান করছি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন জানান, জড়ো হয়ে থাকা মিয়ানমারের নাগরিকদের বিজিবির পাশাপাশি পুলিশও নিরাপত্তা দিচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও বিজিবি এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা চালাচ্ছে।
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মাশরুকী জানান, অনুপ্রবেশের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। কতজন পরে জানানো হবে।
এসএস