কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে ফুলসাগর লেকের দক্ষিণ পাড় ঘেঁষেই দেড় যুগেরও বেশী সময় আগে গরীব অসহায় মানুষের জন্য চন্দ্রখানা বালাটারী আবাসন নির্মাণ হলেও চলাচলের জন্য নির্মাণ হয়নি একটি সেতু। আবাসনের ১৮০ ঘর বাসিন্দাসহ আশপাশের ৩ টি গ্রামের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের পারাপারের জন্য পাকা সংযোগ সড়ক থেকে নালার উপর ৬০ মিটার দীর্ঘ জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকোটি বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে দিয়েই পারাপার হত নারী, শিশু বৃদ্ধসহ অনেকেই।
বর্তমানে কাঠের সাঁকোটি সংযোগ সড়ক থেকে দুই অংশে ভেঙে পড়ায় পাশেই স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে দৈনন্দিন জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে যাতায়াতের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন আবাসনবাসী ও এলাকাবাসী। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত ফসল আনা নেওয়ার সমস্যায় ভুগছে স্থানীয় কৃষকরা।
এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় কাঠের সাঁকোর পরিবর্তে একটি পাকা সেতু নির্মাণের দাবি আবাসনবাসী ও এলাকাবাসীর।
আবাসনবাসী আছিমন বেগম ইয়াকুব ও হযরত আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই আবাসনে বসবাস করে আসছি, চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে আজ পর্যন্ত একটি পাকা সেতু হয়নি, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করি সেটিও ভেঙে পড়ে আছে, এখন আমরা একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছি, এখানে প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলেমেয়েসহ অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন আমাদের এখানে একটি সেতু দেয়ার।
স্থানীয় ছাত্র শ্রাবণ ও শিক্ষক আব্দুল আলিম জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে অনেক কষ্ট করে পারাপার হতে হয়। অনেক সময় আমরা দুর্ঘটনা শিকার হই, তাই এখানে দ্রুত একটি সেতু দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনুল ও মমিনুল ইসলাম জানান, আমরা এ রাস্তা ধরেই যাতায়াত করি, কাঠের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের চলাচলে খুবই সমস্যা হয়েছে, এছাড়া বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদিত ফসল আনা নেওয়া কষ্ট হচ্ছে। একটি সেতু হলে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মামুনুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে আবাসনের এই সেতুর প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সেতুর কাজ করা সম্ভব হবে।
এসআই