মানিকগঞ্জ: বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন প্রবাসী স্বামী। এতে শিশু সন্তানকে নিয়ে জুটছিলো না নূন্যতম ভোরণপোষণ। উপরি পাওনা হিসেবে ছিলো শ্বশুরবাড়িতে ছিলো শাশুড়ি, ননদ আর দেবরের স্ত্রীর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। আর সেই কষ্ট সইতে না পেরে বাথরুমে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন আখিঁ আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূ। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটােইল ইউনিয়নের ঘোস্তা বড়ইনগর এলাকায়।
নিহত আখিঁ আক্তার ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জুয়েল মিয়ার স্ত্রী। তিনি ১৫ মাস বয়সি এক পুত্রসন্তানের জননী ছিলেন।
নিহতের মামা আল-আমিন খানের অভিযোগ, জীবিকার তাগিদে প্রায় দুই বছর আগে আখিঁ আক্তারের স্বামী সৌদি আরব পাড়ি জমান। এরপর থেকে আখিঁর শাশুড়ি, ননদ ও দেবরের বউ মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। পরে আখিঁর শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে একাধিকবার মিমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
এরপর আখিঁর বাচ্চা হওয়ার পর তার স্বামী তাদের ভরণপোষণের খরচ বন্ধ করে দেয়। পরে বিষয়টি নিয়ে আখিঁ তার শাশুড়ির সঙ্গে আলোচনা করলে, তখন শাশুড়ি, ননদ ও দেবরের বউ আখিঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। শনিবার সকালে শিশু সন্তানের ভরণপোষণ ও পারিবারিক কলহের কারণে বাড়ির রাথরুমে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন আখিঁ আক্তার।
এই বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) দেব দুলাল জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি ইউডি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এসএস