সিলেট: বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের সচিব মো. আরিফ বলেছেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনগণের কাছে সঠিক ধারণা দিতে হবে। তথ্য সম্পর্কে যে কোনো নাগরিক তথ্য চাইতে পারে। তথ্য অধিকার আইন- ২০০৯ ও আইনের মাধ্যমে যে কোনো নাগরিক সরকারি যে কোনো দপ্তরে তথ্য অধিকার আইনে, তথ্য চাইতে পারে। সেই তথ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান দিতে বাধ্য। তবে যে তথ্যের কারণে রাষ্ট্র বা বিদেশি রাষ্ট্রের ক্ষতি হবে এমন তথ্য ছাড়া, বাকী সব তথ্য সম্পর্কে জানা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট সদর উপজেলার হলরুমে সিলেট সদর উপজেলার তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ উপজেলা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য কমিশন সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করে যেকোনো নাগরিক তার অধিকার বিষয়ে জানতে পারবে। প্রতিটি নাগরিকের তথ্য অধিকার বিষয়ে জানা একান্ত প্রয়োজন। কোনো সরকারি কর্মকর্তা যদি তথ্য অধিকার আইনে চাহিত তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করেন, তা হলে আপনি আপীল করতে পারবেন। আপীলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে আপনার চাহিত তথ্য যদি যুক্তিযুক্ত হয়, তাহলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জরিমানা সহ শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। পুরুষ ও মহিলাদের নিয়ে উঠান বৈঠক করলে তথ্য অধিকার বিষয়ে অবগত করলে এর ফলাফল ভালো পাওয়া যাবে। উঠান বৈঠকে নাগরিকদের এই বিষয় নিয়ে আরো বেশি সচেতন করতে হবে। বর্তমানে এ বিষয় নিয়ে ছোট ছোট সেমিনার বা উঠান বৈঠক ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নাই। এ বিষয়টির উপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
তিনি বলেন, যেদিন প্রতিটি নাগরিক তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগ করতে পারবে। সেদিন তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। তখন এ তথ্য অধিকার আইন প্রতিষ্ঠা করা সফল হবে বলে। সঠিক সময়ে সরকারি সকল ওয়েবসাইট প্রোর্টালের সব তথ্য আপডেট দিতে হবে। তথ্য অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে ২ মাস অন্তর অন্তর যে সভা করার বিধান রয়েছে, তা শতভগ এই সভার কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি জানান।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোশনূর রুবাইয়াং এর সভাপতিত্বে ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আবুল মনসুর আসজাদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তথ্য কমিশনের উপ-পরিচালক প্রশাসন হেলাল আহমদ, উপ-পরিচালক প্রশিক্ষণ মো. সালাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার মুক্তা সরকার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাহিদ, সহ: উপ: শিক্ষা অফিসার সায়মা সুলতানা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুসরাত এ ইলাহী, প্রোগ্রাম অফিসার শামছুন্নাহার, সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. ছমির উদ্দিন, সহ: উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, সহকারী প্রোগ্রামার (বেনবেইস) মো. শাহ রিয়া পারভেজ, উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, প্রথম সিলেটের সম্পাদক মো. মতিউর রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ, উপ সহকারী প্রকৌশলী (এলজিইডি) হাসিব আহমেদ, তথ্য সেবা সহকারী প্রিয়াংকা সরকার, এরিয়া কো অর্ডিনেটর টিআইবি মো. সাজিদুর রহমান, প্রকল্প সমন্বয়কারী আইডিয়া তামান্না আহমদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিজিৎ কুমার পাল, উপজেলা আইসিটি অফিসার শ্যামল চন্দ্র দাস, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রমুখ।
এসএস