কুড়িগ্রাম: উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারদিক। ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। দিনদিন শীত বাড়ায় হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের জন-জীবন। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্বিসহ হয়ে উঠৈছে নিন্ম বিত্ত শ্রমজীবী ও ছিন্নমুল মানুষের জীবন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন ১৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছিন্নমূল মানুষদেরকে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
জেলার নাগেশ্বরী থানার বানুরখামার এলাকার দিনমজুর সাগর, হরেন ও পলাশ জানান, আমরা নিম্ন আয়ের মানুষ। দিন এনে দিন খেতে হয়। কাজের সন্ধানে আমাদেরকে সকালেই বের হতে হয়। কিন্তু যে কুয়াশা পড়েছে এতে আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। শীতবস্ত্র না থাকায় শীতের তীব্রতা আমরা অনেক কষ্ট পাচ্ছি।
জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার মনিরুজ্জামান রাশেদ আকন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে শীতের তীব্রতার কারণে শিশু ও বৃদ্ধসহ অনেকেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
ফুলবাড়ী উপজেলার রিকশাচালক আলিমুদ্দি ও শফিকুল ইসলাম জানান, সকালবেলা বেশিভাগ যাত্রী বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে শীতের তীব্রতার কারণে আমাদের রিকশা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, গত এক সপ্তাহে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এ মাসেই ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএস