• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩০

কুমিল্লায় ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকার বোতলজাত তেল, নিরব প্রশাসন


মঈন নাসের খাঁন, কুমিল্লা ডিসেম্বর ৯, ২০২৪, ০৪:৫২ পিএম
কুমিল্লায় ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকার বোতলজাত তেল, নিরব প্রশাসন

কুমিল্লা: কুমিল্লার বিভিন্ন বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ডিলারদের সরবরাহ সংকট এবং শর্তাধীন বিক্রির কারণে দোকানদাররা খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির দিকে ঝুঁকেছেন। ফলে এক লিটার তেলের দাম ১৬৮ টাকা থেকে পৌঁছেছে ১৯০ টাকায়, যা বোতলজাত তেলের তুলনায় অনেক বেশি। 

ক্রেতাদের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বোতলজাত তেল কেটে ড্রামে ভরে খোলা তেলের দামে বিক্রি করছেন। এই অসাধু ব্যবসায়ীরা বোতলজাত তেল গোডাউনে স্টক করে রেখে দিয়েছেন। এতে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তেল। ভোক্তারা সঠিক সরবরাহ নিশ্চিত এবং তেলের বাজারে স্বচ্ছতা আনতে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিনে কুমিল্লার চকবাজার, রাজগঞ্জ বাজার, টমসম ব্রিজ বাজার, বাদশাহ মিয়া বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেলের তীব্র সংকট।

দোকানিদের অভিযোগ, কোম্পানি তাদের কাছে শুধু তেল বিক্রি করে না। তেলের সাথে পোলও চাল, আটা-ময়দা ইত্যাদি পণ্য নিতে হয়। এতে তারা এক ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হন। কারন ক্রেতারা দোকান থেকে তেল কিনলেও, সাথে আটা বা ময়দা কিনেন না। সেজন্য ৫ লিটার তেলের গায়ে ৮১৮ টাকা লেখা থাকলেও তারা বিক্রি করছেন ৮৭০ টাকায়। তবে কোম্পানি থেকে তেলের সাথে নেয়া আটা-ময়দা আলাদা বিক্রি হওয়ার পরও তাদের ক্ষতি হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বিক্রেতারা।

এছাড়া, ছোট-বড় দোকানদারেরা জানিয়েছেন, কোম্পানি বা ডিস্ট্রিবিউটরদের পক্ষ থেকে সরবরাহ কম থাকায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে সঠিক সময়ে এবং পরিমাণমতো তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। তারা আশঙ্কা করছেন, এই সংকট যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

স্থানীয় এক ভোক্তা কামরুন্নাহার বলেন, আমার স্বামীর আয় প্রতিদিন ৫০০ টাকা। কিন্তু তেলে যায় ১৯০ টাকা তাহলে কিভাবে বাকি বাজার করবো। সব কিছুর দাম বেশি। এতে আয়ের থেকে ব্যয় অনেক বেড়ে গেছে।

আনিস নামে এক ক্রেতা বলেন,  বোতল কেটে ড্রামে তেল ভরে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছে। তাদের কারণে আমরা যে চাহিদা অনুযায়ী তেল কিনবো, তাও সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে ডিলার হীরেন চন্দ্র সাহা বলেন, কোম্পানি থেকে তেল কম আসছে। তারা ঠিক কি কারণে সরবরাহ কমিয়েছে, তা আমাদের জানা নেই।

এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের  উপ-পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম বলেন, তেলের ব্যাপারে বাজার মনিটরিং করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!