• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সারজিস আলম

অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানী করলে ইউনূসও ছাড় পাবেন না


রাজশাহী প্রতিনিধি ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
অভ্যুত্থানের সঙ্গে বেইমানী করলে ইউনূসও ছাড় পাবেন না

রাজশাহী : গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেইমানী করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

তিনি বলেছেন, শুধু বাংলাদেশ পুলিশ নয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার সবাইকে আমাদের জায়গা থেকে অনুরোধ করব, আমরা কারো অন্ধ দালাল না। আমরা কোনো ক্ষমতাপিপাসু না। বিবেক বোধের জায়গায় যদি আমাদের মনে হয় যে, কেউ এই অভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন; এমনকি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসও যদি হয় আমরা তাকেও ছেড়ে কথা বলব না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগে নিহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি।

ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহী বিভাগে নিহত ৪৬ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

সারজিস আলমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেসব পরিবারের সদস্যদের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন।

এর আগে বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের যারা হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের বিচারের জন্য যদি লাশ কবর থেকে উত্তোলনের প্রয়োজন না হয়; তাহলে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনার হুকুমে এই বাংলাদেশে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের বিচারের জন্য সেই শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে?

২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে যারা জড়িত ছিলেন, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়কে বলতে চাই, যে ভাই তার জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে, যে ভাইয়ের জীবনের বিনিময়ে ওই চেয়ারগুলোতে আপনারা বসে রয়েছেন, ক্ষত-বিক্ষত সেই মা-বাবা, ভাই-বোনদের সামনে তাদের লাশ তুলতে পারেন না।

এই হত্যা মামলাগুলোর বিচারকাজ পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে বলেও মন্তব্য করেন সারজিস আলম।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলে আমরা ভারতকে যা দিয়েছি সারাজীবন মনে রাখবে। তাই একটি কথা বলে দিতে চাই, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা আপনাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। 

যে খুনি হাসিনা বাংলাদেশের এতোগুলো মানুষকে খুন করে পালিয়ে গেছে, যে খুনি হাসিনা এ দেশ থেকে মানুষের দ্বারা বিতাড়িত হয়েছে, তাকে আপনার আশ্রয় দিয়েছেন। যদি এই বাংলাদেশের সঙ্গে আপনারা সম্পর্ক ভালো রাখতে চান তাহলে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আলমগীর হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির সদস্য মেহেরাব সিফাত, মোবাশির উজ জামান, মাহিন সরকার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আক্তার।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!