কুমিল্লা: আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিজয় দিবস পালন করে ফটোসেশন করেছেন কুমিল্লার লালমাইয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এহসান মুরাদ। ওই ফটোসেশনের ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
যদিও গত ৫ আগষ্টের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায় আ.লীগের নেতা কর্মীরা। হঠাৎ করে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ইউএনও এর পাশে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী সমর্থকরা।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, উপজেলার বাগমারা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের পশ্চিম পাশে বিজয় দিবসের স্টেজের সামনে দাঁড়িয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে ফটোসেশন করেছেন আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের চার নেতা। ছবিতে ইউএনও এর ডানে ১ম ব্যক্তি হলেন মাহবুবুর রহমান কাশেম। তিনি উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। ডানের ২য় ব্যক্তি হলেন জয়নাল আবেদীন জয়। তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও লালমাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। ডানে ৩য় ব্যক্তি হলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। আর ইউএনও এর বামে ১ম ব্যক্তি হলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ উল্যাহ। বামে ২য় ব্যক্তি হলেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লালমাই উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতা বলেন, গত ১৫ বছরে আ.লীগ সরকারের আমলে বিএনপি জামায়াতের কর্মী লেভেলের কেউ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসিসহ সরকারি কোন কর্মকর্তার সাথে কথা বলতেও পারেনি, থাকতো ছবি তোলা। ইউএনও এর সাথে ছবিতে থাকা আ.লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান কাশেম নিজে দরখাস্ত করে ২০০৬ সালে যুক্তিখোলায় বিএনপির একটি জনসভায় ১৪৪ জারি করিয়েছিলেন। আর জেলা ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন জয় ফ্যাসিবাদের হয়ে বিএনপি জামায়াতের লোকদের ধরিতে দিতে পুলিশের সোর্সের ভুমিকায় ছিলেন।
এ বিষয়ে আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, ফটোসেশনের ব্যক্তিরা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আমার সাথে ছবি তুলেছেন। তারা আ.লীগ বা কোন দলের পদবিধারী কিনা আমি জানতাম না। পরবর্তীতে এমনটা আর হবে না।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলম চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ১৬ বছর জাতীয় দিবসের পোগ্রামগুলো কোন দাওয়াত পাইনি, থাকতো ছবি তুলব। ফ্যাসিবাদী সরকার হাসিনা চলে গেছে। কিন্তু তার দুশোর ওরা এখনো রয়ে গেছে। তারা প্রকাশ্যে কিছু করতে না পারলেও নিরবে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য এইসব কর্মকাণ্ড করাচ্ছে। আমি চাই আগে প্রশাসনে সংস্কার করা প্রয়োজন। এদের মত ছাত্রলীগদের খুঁজে বের করে সংস্কার করা জরুরী।
এসআই