গাজীপুর : টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে মঙ্গলবার দিনগত রাতে দুপক্ষের সহিংসতা ও প্রাণহানির পর বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ইজতেমা ময়দান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সাঁজোয়া যানসহ নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ-বিজিবির পাশাপাশি সেনা সদস্যরাও কাজ করছেন।
এর আগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। এরপর গতকালই মাঠ খালি করে চলে যান মুসুল্লিরা।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে জোড় ইজতেমা করতে চেয়েছিলেন সাদপন্থি মুসুল্লিরা। মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা বাধা দিলে গতকাল ভয়াবহ সংঘর্ষে নিহত হন চারজন এবং আহত হন শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় হতাহতের দায় একে অপরের ওপর চাপায় উভয়পক্ষ।
আগামী ৩১ জানুয়ারি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দেবেন মাওলানা সাদের অনুসারীরা।
২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক আহত হন। এরপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই ভাগ হয়ে পড়ে তাবলিগ জামাত।
২০১৯ সাল থেকে আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগের কার্যক্রম পরিচালনা করেন তারা। প্রথম পর্বে জোবায়েরপন্থি ও দ্বিতীয় পর্বে সাদপন্থিরা আয়োজন করে আসছেন। তবে এ বছর আসন্ন ইজতেমাকে সামনে রেখে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এমটিআই