লক্ষ্মীপুর: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া বলেন, ১৮ বছর বিএনপির বিরুদ্ধে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র হয়েছে। ধ্বংস ও নেতৃত্বহীন করতে হাসিনা যতই চেষ্টা করেছে তার চেয়েও বেশি শক্তিশালী হয়েছে বিএনপি।
হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ চেষ্টা করেছে, থাকতে পারেনি। বিএনপিকে নিয়ে খেলা করলে সে বেশিদিন টিকতে পারে না। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত হাসিনা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার নির্যাতন করেছে।
২০০৮ সালে ফখরুউদ্দিন, মঈনুদ্দিনের হাত থেকে ক্ষমতা পাওয়ার পর হাসিনা আর কোনো নির্বাচনে বিশ্বাস করেনি। এরপর ভোট, ভোটার ও নির্বাচন ছাড়াই হাসিনা নিজেই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়।
তারা সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে। শেখ হাসিনার পরিবারই ৮৮ লক্ষ কোটি টাকা লুটপাট করেছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউনিয়ন যুবদলের ব্যানারে সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মানে রসুলগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
খায়ের ভূঁইয়া বলেন, হঠাৎ করে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন সৃষ্টি হয়নি। বিএনপির ৯ হাজারের মতো নেতাকর্মী গুম খুনের শিকার হয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। একটি ধারাবাহিক আন্দোলনের শেষ পর্যায়ে আমাদের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে হাসিনার পতন ঘটিয়েছে।
এই হাসিনার পতনের নেতৃত্বে দিয়েছেন যুবক-ছাত্র সমাজ। সেখানে আমাদের যুব-ছাত্র সমাজ ও আমাদের দলে নেতাকর্মীরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কেউ যদি মনে করে এককভাবে তাদের নেতৃত্বে তা হয়েছে তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা মুক্তমনে ঘুরতে পারছি। ১৭ বছর পর এবার নিরাপদে বাড়িতে থাকতে পারছেন। এখন নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বিএনপির ৬২ লক্ষ নেতাকর্মী মিথ্যা মামলা মাথায় নিয়েও কখনো রাজপথ ছাড়েনি।
খালেদা জিয়াকে আন্দোলন সংগ্রাম থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য উদ্ভট একটি মামলায় জোরজবরদস্তি একটি রায় দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দেশ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। বিএনপি সবকিছুই মোকাবেলা করেছে।
চররুহিতা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ফিরোজ আলম চৌধুরী সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সফি মাহমুদ নিজুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পশ্চিম বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল করিম ভূঁইয়া মিজান, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সোহেল, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আব্দুল আলীম হুমায়ুন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বুলবুল, সদর উপজেলা পশ্চিম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রাব্বি এলাহি জহির, যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইদুল রহমান চৌধুরী ভুট্টু ও ফখরুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
এআর