কক্সবাজার: সূর্যাস্তের সঙ্গে প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসেব নিয়ে বিদায় নিল আরও একটি বছর। এই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি ও শেষ সূর্যাস্ত দেখতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ছুটে এসেছেন লাখো পর্যটক। প্রতি বছরই ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ ও পুরোনো বছরকে বিদায় দিতে এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে।
এ বছর সমুদ্র সৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে কনসার্ট বা গান-বাজনার অনুষ্ঠান না থাকলেও পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। অবশ্য তারকামানের হোটেলগুলোতে পর্যটকদের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, পর্যটকদের একটি বড় অংশ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের জন্য আসেন।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে দেখা গেছে, পর্যটকরা ভিড় করেছেন সমুদ্র পাড়ে। সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়ে একটি বছরকে বিদায় জানানো পর্যটকের কাছে স্মৃতিময়। সমুদ্রের বিশালতায় পুরোনো সব গ্লানি মুছে নতুনকে গ্রহণের শপথ নিচ্ছেন অনেকে। পর্যটকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় দর্শনার্থীরাও। অনেককে হাঁটু সমান পানিতে নেমে সূর্যকে হাতছানি দিতে দেখা গেছে। অনেককে সৈকতের বালুচরে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে ২০২৪ সালের শেষ সূর্যটিকে ক্যামেরা বন্দি করতেও দেখা গেছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম বলেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে লাখো পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে। তাদের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আইএ