• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩০

নেশাদ্রব্য খাইয়ে ৩ জনকে অচেতন, ঘর থেকে স্বর্ণালংকার-টাকা চুরি


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:  ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
নেশাদ্রব্য খাইয়ে ৩ জনকে অচেতন, ঘর থেকে স্বর্ণালংকার-টাকা চুরি

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে রাতের খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে একই পরিবারের ৩ সদস্যকে অচেতন করে স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে ২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এর আগে কোন একসময় ঘরে ঢুকে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয় চোর। 

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ব্যাংক কর্মমর্তা সৌরভ চন্দ্র নাথ সদর মডেল থানায় অজ্ঞাত চোরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। 

এর আগে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১ টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে রাম কিশোর বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

অভিযোগের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। 

অসুস্থরা হলেন- শংকর দেবনাথ, তার স্ত্রী স্বপ্না রাণী নাথ ও পূত্রবধূ তমা রাণী নাথ। তাদেরকে বাড়িতে রেখা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তারা স্বাভাবিক হননি। 

অভিযোগ সূত্র জানায়, গৃহকর্তা শংকরসহ তার স্ত্রী, পুত্রবধূ রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে রাতে ঘরে খাবার খাননি তার ছেলে সৌরভ৷ তিনিও ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১ টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে সৌরভ ঘরের দরজা খোলা দেখেন। উঠে দেখেন ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র এলোমেলো। একপর্যায়ে সৌরভ তার মোবাইলফোনও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তার বাবা, মা ও স্ত্রীকেও ঘুম থেকে উঠাতে পারছিলেন না। তাদের কোন সাড়াশব্দ ছিলো না। পরে ঘরের মালামাল যাচাই শেষে ২ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ টাকা পাওয়া যায়নি। চোরের দল মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। 

সৌরভ চন্দ্র নাথ বলেন, রাতে আমি ঘরে খাবার খাইনি। তবে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে দেখি দরজা খোলা। জিনিসপত্র এলোমেলো দেখে ঘরে কেউ আছে মনে হচ্ছিল। খুঁজতে গেলে ঘরতে বের হয়ে বাগানে দিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। চেষ্টা করেও তাকে ধরতে পারিনি। কোন একসময় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে ওই চোরের দল। পরে রাতে তারা ঘটনাটি ঘটায়। আমার বাবা-মা ও স্ত্রী এখনো অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মোন্নাফ বলেন, অভিযোগ পেয়ে এসআই আনিছকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জড়িতদের শনাক্তে চেষ্টা করা হচ্ছে। 

আইএ

Wordbridge School
Link copied!