বরগুনা: জীবিকার টানে ময়মনসিংহের ফারিয়া পাড়ি জমান ঢাকায়। এসে নেয় গার্মেন্টসে চাকুরী। চাকরি অবস্থায় পরিচয় হয় বরগুনার সালমানের সঙ্গে। টানা প্রেমে মজে দুজনে করে নেন বিয়ে। বিয়ের মেহেদী মুছে যাওয়ায় আগেই স্বামীর সিগারেট খাওয়া মেনে নিতে না পাড়ায় অভিমানে নিজের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয় স্ত্রী ফারিয়া।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত সাতটায় এমন ঘটনা ঘটে সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে। অভিমান করে কীটনাশক খাওয়া ঐ নারীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানরত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনেই হাসপাতাল থেকে স্বামী মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের আব্বাস বিশ্বাসের ছেলে সালমান বিশ্বাসের সাথে ময়মনসিংহের ফারিয়ার বিয়ে হয় গত ছয় মাস পূর্ব প্রেম করে। গত ৫ আগস্টের পর সালমান চাকরি ছেড়ে ফারিয়াকে নিয়ে বরগুনায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। সালমান ধুমপান আসক্তি থাকায় প্রায়শই এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য ও ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। স্বামীকে সিগারেট ছাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও সুবিধা করতে পারেনি স্ত্রী ফারিয়া। এমনকি স্বামী সিগারেট খেলে সে রাগ করে মরিচ চাবিয়ে খেত।
সিগারেটের প্যাকেট সরিয় রাখায় স্বামী সালমানের সঙ্গে ফারিয়ার কথা-কাটাকাটি হলে কীটনাশক পান করে। তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসারত অবস্থায় ফারিয়ার মৃত্যু হয়।
নিহত ফারিয়ার শাশুড়ী খালেদা আক্তার বলেন, সিগারেট খাওয়া নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হলেও তার ছেলে সালমান কখনও ফারিয়ার গায়ে হাত তুলতো না। ফারিয়া একটু অভিমানী বেশী ছিল। স্বামী সিগারেট খেলে সে মরিচ চিবিয়ে খেত ঝগড়া করে। গতকাল পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট সরিয়ে রাখায় দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে তরমুজ গাছের জন্য আনা কীটনাশক খেয়ে ফেলে ফারিয়া।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ফারিয়ার মরদেহ সকালে ময়নাতদন্তের কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেই নাই। ফারিয়ার মৃত্যুতে সদর থানায় ইউডি কেস করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।
এসআই