• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩০

চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি আমরা চাই না: মিজানুর রহমান আজহারী


সিলেট প্রতিনিধি জানুয়ারি ১২, ২০২৫, ১০:২৭ এএম
চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি আমরা চাই না: মিজানুর রহমান আজহারী

সিলেট: জনপ্রিয় ইসলামি স্কলার ড. মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আমরা এ দেশে চাঁদাবাজি-দখলবাজি চাই না, কোনো দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজিও আমরা চাই না। এখন আমাদের শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে সিলেট এমসি কলেজ  মাঠে আনজুমানে খেদমতে কুরআন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের সমাপনী দিনে তিনি একথা বলেন।

বয়ান পেশকালে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, আমরা দেখেছি ক্ষমতার পালা বদলে এক সরকার যায়, আরেক সরকার আসে। তখন আমরা দুনীর্তির ফিরিস্তি জানতে পারি, তার আগে জানতে পারি না। প্রতিটি দলের ভেতরে আমরা এই বাজে স্বভাবটা দেখেছি। আমরা এ দেশে চাঁদাবাজি-দখলবাজি চাই না, কোনো দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজিও আমরা চাই না। এখন আমাদের শুধরে নেওয়ার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের শপথ নেওয়ার সময় এসেছে। নিবন্ধিত প্রতিটি দলের শপথ নেওয়া উচিত। আমরা আর কোনোদিন চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করব না। নতুন ভোরের বাংলাদেশে আমরা যেন কাদা ছোড়াছুড়ি না করি।

 রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্দেশ্য করে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, সম্প্রতি যশোরের একটি মাহফিলের আলোচনার আমি বলেছিলাম, এক দল খেয়ে গিয়েছে, আরেক দল খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আছে। আমাদের অনেক রাজনীতিবিদ বন্ধুরা এটি নিজেদের গায়ে মেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এখানে তো কোনো দলের নাম নেইনি, আমি সাধারণভাবে বলেছি। দায়ীদের বৈশিষ্ট্য এটা, যার যে মেসেজ নেওয়ার এখান থেকে নিয়ে নেয়। কোনো দল এটা নিয়ে কথা বললো না। কিন্তু আপনারা যে এটা নিজেদের গায়ে মাখালেন, এটা ঠিক হয়নি।

আনজুমানে খেদমতে কুরআন সিলেট অঞ্চলের জন্য একটি নেয়ামত উল্লেখ করে জনপ্রিয় এই ইসলামি স্কলার বলেন, এই সংগঠনটির সাথে শহীদ আল্লামা সাঈদীর স্মৃতি জড়িত রয়েছে। সংগঠনটি শুধু দ্বীনের দাওয়াতের কাজ করে না, সামাজিক অঙ্গনে বিশাল ভূমিকা রেখে আসছে।

প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তৃতাকালে মাঠে উচ্ছৃঙ্খল জনতা হট্টগোল শুরু করে। বিষয়টি নজরে এনে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, ‘সিলেট আজকে কী করছো, এটা মনে থাকবে’। এ কথা বলে মাহফিলে নিজের বয়ান শেষ না করেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাত করে মাহফিলের সমাপ্তি টানেন তিনি।

মাহফিলের শেষ দিনের পৃথক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আনজুমানে খেদমতে কুরআন  সিলেটের সভাপতি প্রফেসর মাওলানা সৈয়দ একরামুল হক ও আল্লামা ইসহাক আল মাদানী।

শেষ দিনে ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও তাফসির পেশ করেন আল্লামা ইসহাক আল মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম আল মাদানী, মুফতি মাওলানা আমীর হামজা, শায়খ হাফিজ মাওলানা আবু সাঈদ, অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল্লাহ বাহার, শায়েখ আজমল মসরুর, মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ার, মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী ও মাওলানা হাসানুল বান্না বিন শরিফ আব্দুল কাদির।

এ সময় মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফিজ আব্দুল হাই হারুন প্রস্তাবনা পেশ করেন।

এম

Wordbridge School
Link copied!