নারায়ণগঞ্জ: সোনারগাঁয়ে বিএনপির তিন নেতার পাহাড়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেয়া জমিতে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েকদিন ধরে ওই জমিতে দেয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূক্তভোগী।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাংলা ফুডের কার্য নির্বাহী পরিচালক মো. আল মামুন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাফিউদ্দিন মজনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুশফিকুল ইসলাম মোহন ও সেলিম মিয়া লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাত দিন তার লোকজনের মাধ্যমে পাহাড়া বসিয়ে ওই দেয়াল নির্মাণ করছেন অভিযোগ তুলেছেন।
জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের জাইদেরগাঁও এলাকায় ডীপলেড ওয়্যার ল্যাবটরি লিমিটেড নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলা ফুড নামের একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিন ধরে ৩১ শতাংশ জমি নিয়ে তাদের বিরোধ চলছিল।
এ বিরোধপূর্ণ জমিতে গত কয়েকদিন ধরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সীমানা প্রচীর নির্মাণ কাজ শুরু করে। এ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
পাশাপাশি স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনারগাঁকে আদেশ তামিল করার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় গত ২৩ নভেম্বর বিবাদী লায়ন মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান নান্নু ওই জমিতে জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
দেয়াল নির্মাণ বন্ধে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আদালতের নির্দেশনায় কাজ বন্ধ করে দেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পর শাফিউদ্দিন মজনু, মুশফিকুল ইসলাম মোহন ও সেলিম মিয়া পাহাড়া বসিয়ে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
বাংলা ফুডের কার্য নির্বাহী পরিচালক মো. আল মামুন বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আধারে ৩০-৩৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ করছেন। আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও বিএনপি নেতাদের পাহারায় এ নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছেন।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শাফিউদ্দিন মজনুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি চাকরিজীবী। ঢাকায় থাকি। জমি দখলের সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। দেয়াল নির্মাণের বিষয়টিও আমার জানা নেই।
ডীপলেড ওয়্যার ল্যাবটরি লিমিটেড চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান নান্নুর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
এআর