• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩০

কুয়াকাটায় সাংবাদিকের উপর হামলা বিএনপি‍‍`র নেতার


কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  জানুয়ারি ১৩, ২০২৫, ১১:১৫ এএম
কুয়াকাটায় সাংবাদিকের উপর হামলা বিএনপি‍‍`র নেতার

ছবি : প্রতিনিধি

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৈনিক দেশ রুপান্তরের কুয়াকাটা প্রতিনিধি কেএম বাচ্চু ও তার বয়োবৃদ্ধ পিতা ইউনুচ খলিফাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। 

কুয়াকাটা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলী খন্দকার এবং শ্রমিকদলের শহীদ, কাদেরের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন ওই সাংবাদিক ও স্থানীয়রা।

আহত সাংবাদিক বাচ্চু ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক কেএম বাচ্চুর পিতা ইউনুচ খলিফা রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় বসে এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এসময় ওই এলাকার এক বাদাম বিক্রেতার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়ায় পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকার। ওই বাদাম বিক্রেতাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন সে। পরে ইউনুচ খলিফা এর প্রতিবাদ করলে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় আলী খন্দকার। এর কিছুক্ষন পর পিতাকে মারধরের কথা শুনে সাংবাদিক বাচ্চু সেখানে পৌছলে পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা ও আলী খন্দকারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন তাকে লাঠিসোটা নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।

এক পর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে স্থানীয়রা ওই সাংবাদিক ও তার পিতাকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল নামের একজন জানান, বাচ্চুকে ৩/৪ জন মিলে মারধর করছে এমন অবস্থায় আমি তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। তবে আমি না গেলে ওরে মেরে ফেলতো আজকে। 

এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর কৃষকদলের সভাপতি আলী খন্দকারের মুঠোফোনে আমাদের বলেন, সাংবাদিকের বাবা বিগত দিনে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিল এবং আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন আমাকে অত্যাচার ও মারধর করেছে। আজও আমাকে মারতে এসেছে তাই আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার ছেলেরা একটু চড়া হয়েছে। পাল্টা বাচ্চু আমার উপর আক্রমণ করেছে।  

কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি জসিম মৃধা বলেন, আমি ওখানে গিয়ে দেখি বাচ্চু খলিফাকে মারধর করা হচ্ছে। পরে আমি মারধর থামাতে গেলে বাচ্চু নিজেই আমার উপর হামলা চালায়। আমি বর্তমানে কুয়াকাটা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছি।

মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।

এসআই

Wordbridge School
Link copied!