Menu
ছবি : প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ভাংচুরের ঘটনায় দু'শ জনকে আসামী করে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়। এঘটনায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোরে পুলিশ দু'জন যুবদল কর্মীকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, শুক্রবার রাত ৭ টার দিকে দর্শনা ছাত্রদলের আহবায়ক আরাফাত হোসেন ও যুবদল নেতা মোঃ মোহন হোসেন কেরু চিনিকল ক্যাম্পাসে মিটিং করছিল। এ সময় একই দলের কতিপয় নেতা কর্মিরা মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা করে মিটিং এর পাস দিয়ে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটি হয়। ঐদিন সন্ধা সারে ৭ টার দিকে সেই ঘটনার জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয়ক হাবিবুর রহমান বুলেট (৪৮), যুবদল নেতা মোহন হোসেন (৩০), শিপন মিয়া (২৮), রকিবুল হাসান ব্রাইট (৩৭), ছাত্রদল নেতা আরিফুল ইসলাম (২৫), মামুন (২৫) ও মিতুল (২৪) সহ ১১ জন রক্তাত জখম হয়।
তারপর শুরু হয় উভয় পক্ষের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত সারে ১১ টা পর্যন্ত চলে এই দেশীয় অস্ত্রের মহড়া।
পরে চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনীর একটি দল ও দর্শনা থানা পুলিশ পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই রাতেই দর্শনার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন, যুব সংঘ ক্লাব, ঘর বাড়ি ও দোকান পাট সহ ১৫ টি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুট পাটের অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে মনির হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন নামে দু'জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি বাদি হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
দর্শনা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক চোয়ারম্যান আহাম্মদ আলি জানান, এটা খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। তবে অপরাধ করলে কেউ রেহায় পাবেনা।
দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার অনুজ কুমার জানান, পৃথক দুটি মামলায় দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুর গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে যুবদল কর্মি রাজ হোসেন (৩০) ও সবুজ হোসেন (৩২) কে আটক করা হয়েছে।
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমির জানান, এ ঘটনায় দুটি মামলা রেকর্ড হয়েছে, প্রতি মামলায় ২০/২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২শ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামী আটকের পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এসআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT