• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩০

ধর্ষণ মামলা প্রমাণিত না হওয়ায়, আসামির দেয়া মামলায় বাদীর জেলহাজত! 


বরগুনা প্রতিনিধি জানুয়ারি ২৮, ২০২৫, ১০:৫২ এএম
ধর্ষণ মামলা প্রমাণিত না হওয়ায়, আসামির দেয়া মামলায় বাদীর জেলহাজত! 

ফাইল ছবি

বরগুনা: ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বাদীকে দোষী সাব্যস্ত করে আসামির দায়ের করা মামলায় বাদীর জেলহাজত। মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করা ঐ বাদীর নাম মাজেদা বেগম। তিনি বরগুনার বেতাগী উপজেলার গাবতলী গ্রামের রফিক হাওলাদারের মেয়ে। তার অভিযোগ পুলিশ তদন্তকালে মিথ্যা প্রমাণিত হলে মামলা খারিজ হয়। আসামি থেকে অব্যাহতি পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার প্রতিকার চেয়ে বাদী মাজেদাকে আসামি করে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন মোঃ ইউসুফ হাওলাদার।  

সোমবার (২৭ জানুয়ারী) পূর্বের বাদী মাজেদা বেগম আসামি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু।

জানা যায়, গৃহবধূ মাজেদা বাদী হয়ে গত ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মো. ইউসুফ হাওলাদার (৪০) বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করে ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ সকাল ৯টার সময় তার বসতঘরে ঢুকে ইউসুফ হাওলাদার। এসময় তিনি ঘরে একা থাকায় তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালালে তার বাধার মুখে ব্যর্থ হন মো. ইউসুফ হাওলাদার। অভিযোগটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য বরগুনার গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ কে নির্দেশ দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ডিবির উপ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন গত বছর ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর গৃহবধূর মামলা মিথ্যা মর্মে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। গৃহবধূর মামলা ট্রাইব্যুনাল নথিজাত করে ইউসুফ হাওলাদারকে অব্যাহতি দেন।

মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে তার বিরুদ্ধে  দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এবার তিনি বাদী মাজেদার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি মো. ইউসুফ হাওলাদার মামলা করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ প্রদান করেন। গতকাল সোমবার মাজেদা আইনজীবীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী মো. আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, পুলিশ আসামিদের দ্বারা বাধ্য হয়ে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেয়। আমার মক্কেল তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেয়নি। তিনি বুঝতে পারেননি। আমি আবার জামিনের আবেদন করব।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন,  মিথ্যা মামলা করলে তাকে জেলহাজতে যেতে হয়। এই মেসেজটি সবার জন্য। আজকের ঘটনার পর শত্রুতা দমন করার জন্য আর কেউ মিথ্যা মামলা করতে আসবে না। 

এসআই

Wordbridge School
Link copied!