Menu
কুড়িগাম: সূর্যমুখী চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ধরলা নদীবেষ্টিত কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। ক্ষেতগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুল এসেছে। অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যার কারণে হৃষ্টপুষ্ট ফুলগুলো সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে আর কৃষকদের মনে দোলা দিচ্ছে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ বছর বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষবাদ হচ্ছে। প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের প্রয়োজনীয় বীজ,সার ও কীটনাশক দেয়ার পাশাপাশি পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনাও দেয়া হচ্ছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেল সোয়াবিনের বিকল্প হিসেবে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত, এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত। ১০ কেজি সূর্যমুখীর বীজ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কেজি তেল উৎপাদন হয়।
এ বছর উপজেলায় তৃতীয়বারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করা হচ্ছে। আশা করছি ভালো ফলন হবে এবং আগামীতে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখীর চাষ হবে। উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের গোগারকুটি গ্রামের কৃষক লক্ষীকান্ত রায়ের ৩৩ শতাংশ জমিতে চাষ করা সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য দেখতে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই ফুলপ্রেমি দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন। কেউ কেউ সূর্যমুখী ফুল ঘুরে দেখছে, কেউবা আবার ফুলের সাথে সেলফি তুলছে, আবার কেউবা ভিডিও করছে।
সূর্যমুখী ফুলবাগান দেখতে আসা বিপুল, হৃদয় হাসান, জোসনা ও মাহাফুজার রহমান জানান, সূর্যমুখী ফুলের অপূর্ব সৌন্দর্য মানুষের মন কেড়ে নেয়। বাড়ির পাশেই এরকম ফুল ফোটার খবর পেয়ে আমরা দেখতে এসেছি, সেলফি তুলছি খুব ভালো লাগছে।
উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের গোগারকুটি গ্রামের কৃষক লক্ষীকান্ত রায় জানান, ৩৩ শতক জমিতে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী আবাদ করছি। এতে তার খরচ হয়েছে সাত হাজার টাকা। শেষ পর্যন্ত যদি কোনো আপদ না এলে বা আবহাওয়া অনুকূলে থাকে ওই জমিতে আট থেকে দশ মণ ফলনের আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, চলতি মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলায় ৩৩ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। কৃষকের কৃষি প্রণোদনা স্বরূপ বীজ, সারসহ বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছি এবং কৃষকেরা ভালো ফলন পাবে।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT