Menu
ছবি : প্রতিনিধি
বরিশাল: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বরিশাল বিভাগের বিএনপির রাজনীতিতে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। দলের মনোনয়ন পাওয়ার আশায় স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠ দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। একদিকে প্রার্থী বাছাইয়ের লবিং-তদবির, অন্যদিকে শো-ডাউন ও সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন চলছে পুরো বিভাগজুড়ে। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চলছে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ ও ক্ষমতার লড়াই।
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠির রাজাপুর-কাঠালিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝালকাঠী-১ আসন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মামলা জটিলতার কারণে ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর বাদ পড়ায় এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম জামাল। প্রথমবারের মত মনোনয়ন পাওয়া জামাল আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিএইচ হারুনের কাছে পরাজিত হলেও উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে আলোচনায় ছিলেন।
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম জামাল বলেন, আমরা সবাই জানি, দলের প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ। আমি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছি এবং আমি নিশ্চিত যে দলীয় মনোনয়ন পাব।
সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যারিষ্টার ওমর ধানের শীষ ছেড়ে নৌকায় ওঠার পর কপাল খুলে যায় জামালের। ৫ই আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর এলাকায় ফিরে রাজনীতির মাঠ নিয়ন্ত্রনে নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা। তবে সম্প্রতি ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের নামে শো-ডাউন করে আলোচনায় এসেছেন আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়ক মহানগর বিএনপির সভাপতি (দক্ষিণ) হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা। দীর্ঘ ১৫ বছর বিদেশে অবস্থান করা এ নেতা দেশে ফিরে নির্বাচনীয় এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। যদিও খুব অল্প সময়েই সেলিম রেজা এলাকায় মজবুত অবস্থান করেছেন। গত ১২ই ফেব্রুয়ারী রাজাপুরে লিফলেট বিতরণকালে সেলিম ও তার লোকজনের উপর হামলা চালায় রফিকুল জামাল সমর্থকরা।
এমন অবস্থা শুধু ঝালকাঠীতে নয় বিভাগের ২১ আসনেই ভোট যুদ্ধের আগে মনোনয়ন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে লোকসমাগম করে যার যার অবস্থান থেকে স্থানীয় পর্যায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি নজরে আসতে চাইছেন হাইকমান্ডের। কখনো কখনো জড়াচ্ছেন বিবাদে। সদর ও নলছিটি নিয়ে গঠিত ঝালকাঠী-২ আসনে মনোনয়ন নিয়ে তিন ভাগে বিভক্ত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ আসনে ২০০১ সালে প্রথমবারের মত মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রয়াত জুলফিকার আলী ভুট্টোর স্ত্রী ইসরাত সুলতানা ইলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তাকে দলীয় টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রার্থী আমির হোসেন আমুর কাছে হেরে যান তিনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইলেনকে বাদ দিয়ে দলীয় টিকিট দেওয়া হয় জেবা আমীন কে। তিনিও আমুর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। সাবেক এ দুই প্রার্থী আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক পেতে জোর লবিং করছেন। তাদের বাইরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু। বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম নুপুরসহ সাবেক ও বর্তমান নেতাদের একটি বড় অংশ নান্নুর পক্ষে কাজ করছেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ১৫ বছর পর এবার তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে। আমি বিশ্বাস করি, এই নির্বাচনে জনগণ তাদের মতামত জানাবে, আর আমি সেই সমর্থনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রস্তুত।
ঝালকাঠি জেলার এক সাধারণ ভোটার, মালা বেগম বলেন, যে প্রার্থী আমাদের এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে এবং যিনি জনগণের পাশে থাকবেন, তাকে আমরা ভোট দেব। শুধু বড় বড় নেতাদের কথা নয়, আমাদের এলাকার সাধারণ মানুষদের জন্য কাজ করা প্রার্থীই আমাদের প্রয়োজন।
চরফ্যাশন ও মনপুরা গিয়ে গঠিত ভোলা-৪ আসন। এ আসনে তিনবারের এমপি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাইতো শক্তির জানান দিতে গত ২২শে জানুয়ারী চরফ্যাশনে বিশাল সমাবেশ করেছেন সাবেক এ ছাত্রনেতা। এর ঠিক ৫দিন পর ২৭শে জানুয়ারী সমাবেশের নামে শো-ডাউন করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। তিনিও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন।
গত ১৯ জানুয়ারী বরিশালের হিজলায় বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ নিয়ে গঠিত বরিশাল-৪ আসনের সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়েদুল হক চাঁন। ওই সমাবেশে এবায়েদুল হক চাঁন এ আসনে আবারও মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদকে মনোনয়ন দেওয়ার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। কারণ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার মনোনয়ন পেয়েই এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন ফরহাদ। ওই নির্বাচনে সরাদেশে মাত্র ২৮টি আসনে জয় পেয়েছিলো বিএনপি। এ আসনে মনোনয়ন পেতে লবিং করছেন স্বেচ্ছাসেবকদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান। সম্প্রতি তিনি মেহেন্দিগঞ্জে তার অনুসারীদের নিয়ে শো-ডাউন করেছেন।
বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসন বরিশাল-৫। সদর উপজেলা ও মহানগর নিয়ে গঠিত এ আসনে স্বাধীনতা পরবর্তী ১১টি সংসদ নির্বাচনে সাতবারই জয় পেয়েছিলো বিএনপি। এরমধ্যে চারবার জনগণের ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার। সবশেষ ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছিলো বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীমের কাছে পরাজিত হন। যদিও ওই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো। দলের অপর উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও এ আসনে মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। হাসিনা সরকার পতনের পর তিনি এলাকায় সময় দেওয়া শুরু করেছেন। সম্প্রতি নগরীর শীতার্থদের মাঝে কম্বলও বিতরণ করে ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন। আলাল ২০০১ সালে তৎকালীন উজিরপুর-বাবুগঞ্জ নিয়ে গঠিত বরিশাল-২ আসন থেকে প্রথমবারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পেয়ে তাদের মতামত প্রকাশে প্রস্তুত। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ প্রকৃত প্রতিনিধিকে বেছে নেবে।
বরিশাল সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচনে একজন সৎ এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করা প্রার্থী নির্বাচন করবেন। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকার উন্নয়ন আটকে আছে, তাই এবার আমরা প্রকৃত উন্নয়ন চাই।
বরিশাল গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন কে কেন্দ্র করে ত্রি-ধারায় বিভক্ত বিএনপি। এখানকার সাবেক এমপি জহির উদ্দীন স্বপন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা। আগামীতেও দলীয় টিকিট নিশ্চিত করতে তিনি মাঠে কাজ করছেন। যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। এ আসনে স্বপনের বাইরে মনোনয়ন লাভের আশায় দীর্ঘদিন ধরে স্বপ্ন বুনছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবাহান এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান। সোবাহান ২০০৮ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো: ইউনুসের কাছে হেরে যান।
বরিশাল উজিরপুর-বানারীপাড়া নিয়ে গঠিত বরিশাল-২ আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কাছে হেরে যান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু। এরপর ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির টিকিট পেয়েছিলেন। কিন্তু বিজয়ের মালা পরতে পারেননি। যদিও তৎকালীন নির্বাচন ছিলো পুরোটাই প্রশ্নবিদ্ধ। দিনের ভোট রাতে না হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা। ওই নির্বাচনের পর তিনি দেশ ছাড়েন। ফেরেন ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর। তৃতীয়বারের মতো ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইতিমধ্যে মাঠ গুছিয়েছেন সরফুদ্দীন সান্টু। তবে তার গোছানো মাঠে ধানচাষের স্বপ্ন দেখছেন বিএনপির সহ বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম টিপু। তিনিও এ আসনে মনোনয়ন লাভের আশায় কাজ করছেন। এর বাইরে সম্প্রতি বিদেশে পালিয়ে থাকা সাবেক এমপি ও জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম ফারুক অভি মডেলকণ্যা তিন্নি হত্যা মামলা থেকে খালাশ পাওয়ার পর নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
অনেকে বলছেন অভি দেশে ফিরে বিএনপিতে যোগ দেবেন এবং বরিশাল-২ আসনে মনোনয়ন চাইবেন।
এদিকে, বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা শরীফ উদ্দিন বলেন, আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে অনেক বিবাদ চলছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, যে প্রার্থী জনগণের জন্য কাজ করবে, তাকে যেন মনোনয়ন দেওয়া হয়।
বাবুগঞ্জ ও মুলাদী নিয়ে গঠিত বরিশাল-৩ আসনে অবশ্য মনোনয়ন নিয়ে দৌঁড়ঝাপ তেমন একটা নেই। এ আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি জয়নুল আবেদীনের দলীয় টিকিটপ্রাপ্তির বিষয়টি অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ তার সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফেরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান আগামীতে নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এখানে সেলিমা রহমান ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে নৌকার প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে জয়নুল আবেদীন বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি মাঠে না থাকলে এখানে বিপুল ভোটে বিজয়ী হতেন সেলিমা রহমান।
সদ্য বিদায়ী বছরের ৭ নভেম্বর বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজনের নেতৃত্বে র্যালি বের করা হয়। বাকেরগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে গঠিত বরিশাল-৬ আসন। রাজন এ আসনে আগামীতে মনোনয়ন চাইবেন। অপরদিকে এখানকার সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানও নির্বাচনী মাঠ গোছাতে ব্যস্ত। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক পদে আছেন। আবুল ও রাজনকে ঘিরে দুই ধারায় বিভক্ত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আগামী সংসদ নির্বাচনে সাবেক এমপিদের পাশাপাশি নতুন অনেকেই মনোনয়ন লাভের আশায় মাঠে কাজ করছেন। তবে দলীয় সূত্র বলছে চাইলেই যে কাউকে এবার মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ-সম্ভাবনা কোনটাই নেই। বিগত আন্দোলন সংগ্রামে কার কি অবস্থান তার চুলছেড়া বিশ্লেষন করেই সিদ্ধান্ত নেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
উড়ে এসে জুড়ে বসে কিছু দান-খয়রাত করে কেউ এমপি হওয়ার স্বপ্ন দেখলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় ভুল। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচন হবে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দীর্ঘ ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেননি। এত বছর পর তাদের সামনে সেই সুযোগ এসেছে। এ কারণে দেখে-শুনে, শত বিচার বিশ্লেষণ করে ভোটাররা যেমন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবেন তেমনি দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার আগে অন্তত দশবার ভাববেন নীতি নির্ধারকরা।
এসআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT