Menu
ফাইল ছবি
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো বটি দিয়ে জখম করা হয়েছে। এসময় পাথরের পুতা দিয়ে হাত-পা থেতলে দেওয়া হয়েছে। রিনা বেগমকে স্বামী আলমগীর হোসেন এ নির্দয় নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
শনিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কালু হাজী সড়কের ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে। আলমগীর মাদক সেবন করে এসে এ নির্যাতন করেছে বলে রিনার স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন।
রোববার (১৬ মার্চ) রিনার ভাই অ্যাম্বুলেন্স চালক হোসেন আহমেদ জানায়, রিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে অপারেশ থিয়েটারে নেওয়া হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বলেন, তার অবস্থা খুবই খারাপ। আমি ঢাকা থেকে এসে থানায় মামলা করবো।
অভিযুক্ত আলমগীর লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর বাঞ্চানগর এলাকার কসাই বাড়ির লেদু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক।
হোসেনসহ স্থানীয় লোকজন জানায়, বাড়িতে ঘর না থাকায় রিনা ও তার স্বামী আলমগীর কালু হাজী সড়কে সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার রাতে রিনা খাবার শেষে সন্তানদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্বামী বাসায় এসে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় ধারালো বটি দিয়ে আঘাত করে। পরে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। একপর্যায়ে পাথরের পুতা দিয়ে দুই হাত ও দুই পা থেতলে দেওয়া হয়। পরে আহত রিনাকে ফেলে রেখে সে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠায়।
হোসেন আহমেদ বলেন, কোন কারণ ছাড়াই আলমগীর আমার বোনকে কুপিয়েছে। হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। সে মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত। বিষয়টা স্থানীয় লোকজনও জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনের বক্তব্য জানা যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি গাঢাকা দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদেরকে জানায়নি। তবে সকালে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেইউবি/এসআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT