Menu
বরগুনা: বরগুনায় রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত মন্টু দাশের বাড়িতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহয়তা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এই সহয়তা নিহত মন্টুর পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন। এসময়ে বরগুনা জেলা বিএনপি, যুবদল, শ্রমিকদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহয়তা প্রদান দলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা, কেন্দ্রীয় সদস্য বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এজেড এম সালেহ ফারুক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান সহ প্রমুখ।
বিশেষ এই সহয়তা প্রদানকালে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, বরগুনা শহরের কালিবাড়ী এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি পরিবারের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের মতন ঘটনা হয়েছে আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এই ঘটনা নিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র না করতে পারে প্রশাসনের প্রতি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা আহবান করছি। নির্যাতিত পরিবারটির পাশে বিএনপি থাকবে বলে তারা গণমাধ্যমেকে জানান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে বরগুনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কালিবাড়ির স্টাফ কোয়াটার দীঘির দক্ষিণ পাশে নিজ বাড়ির পেছন থেকে মন্টু চন্দ্র দাসের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার বিকেলে বরগুনা সদর থানায় নিহতের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেন।
নিহত মন্টু বরগুনা শহরে একটি মুরগির দোকানে কর্মচারী ছিলেন। দেড় মাস বয়সী শিশু কন্যা সহ চার বছর ও ১২ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পরিবারটির ভরনপোষণের কর্মক্ষম ব্যক্তি মন্টু দাসের মৃত্যুতে অন্ধকার নেমে এসেছে।
নিহতের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের পর আমার স্বামী বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। পরে যে দিন মামলার তারিখ তার আগেই রাতে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের সন্দেহ হয় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের স্বজনরা এ হত্যাকাণ্ড করেছে। স্বামীকে হারিয়ে এখন সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। কীভাবে আমাদের সংসার চলবে তা জানি না।
নিহত মন্টু দাশের স্বজনদের দাবি, মেয়েকে অপহরণের পরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মন্টু দাশ বরগুনা থানায় মামলা করেন, এ কারণেই তাকে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার চার দিনেও উদঘাটন হয়নি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এমনকি এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় মন্টু দাসের স্ত্রী অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় আরেকটি মামলা করেছেন। এখন পর্যন্ত কোনো হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া ঘটনার দিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হলেও অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত আসামি সিজীব চন্দ্র রায়ের বাবা শ্রীরাম রায়, সিজীবের সহযোগী কালু ও রফিক। এ মামলার একমাত্র এজাহারভুক্ত আসামি সিজীব রায়সহ গ্রেপ্তার সবাই আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে আছেন।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT