Menu
টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ২৮ জনের কাছ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। একইসঙ্গে তাদের পাসপোর্ট নিয়ে ফেরত দেয়নি চালাল চক্র।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর রহিম মুকুল। লিখিত বক্তব্যে আব্দুর রহিম মুকুল বলেন, প্রায় দুই বছর আগে রহিজ উদ্দিন কাপালী, ছাবাস উদ্দিন কাপালী, সালমা বেগম, শাহ আলম, বাবুল কাপালী এবং সিয়াম এই ৬ জন দালাল চক্র এক হয়ে আমাদের বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন ও অধিক বেতনের লোভ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে। পরে আমাদের কাছ থেকে কয়েক দফায় মোট থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা নেয় তারা। এসময় আমাদের পাসপোর্টও নেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত পাসপোর্ট ও আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই দালাল চক্রের কাছে সর্বস্ব দিয়েছেন। একাধিকবার পাসপোর্ট ও টাকা চেয়েও ফেরত পাওয়া যায়নি। আমরা এ ঘটনায় গত ১৫ মার্চ টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়নি। চালাল চক্রের মূলহোতা রহিজ উদ্দিন কাপালী সপরিবারে পলাতক রয়েছে। এ অবস্থায় আমরা পরিবারবর্গ নিয়ে খুব শোচনীয়ভাবে দিনযাপন করছি। তারা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা না করার জন্য। এই দালাল চক্র বিভিন্ন এলাকার লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। এই দালালচক্র যাতে দেশের বাইরে যেতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আমরা জেলা প্রশাসন, র্যাব-পুলিশসহ সকলের কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা দ্রুতই টাকা ও পাসপোর্ট ফেরত চাই।
এ সময় ভুক্তভোগী এসএম মহিউদ্দিন বাদল, এসএম আশরাফুল হক কনক, অপূর্ব হোসেন, সেলিম রেজা, মাছুম, আকন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে চালাল চক্রের মূল হোতা রহিজ উদ্দিন কাপালীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই শান্ত দেব বলেন, অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডকুমেন্ট দেওয়ার কথা ছিল, পরবর্তীতে তা আর দেননি। তবুও অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমটিআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT