Menu
ছবি : প্রতিনিধি
শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলা জাজিরা উপজেলার জাজিরা পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড আক্কেল মোহাম্মদ মুন্সীকান্দির বাসিন্দা আলেকজান বিবি মূল দলিল মারফতে ৩০ বছরের উর্ধ্বে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। বিপত্তিবাঁধে তখনই কাঁচা বাড়ি থেকে পাকা বাড়ি তৈরি করে ছাদ ঢালাই দেওয়ার সময়। একই এলাকার বাসিন্দা আবু কালাম বেপারি, শাহনাজ আক্তার, লায়লা বেগম পরিবারের সাথে। আবু কালাম ব্যাপারী পরিবার পৈত্রিক ওয়ারিসে জমির মালিকানা দখল করার কথা বলে আলেকজান বিবির সাথে সংঘর্ষে জড়ায়।
ভুক্তভোগী আলেকজান বিবির অভিযোগ, জমি আমার সাব ক্রয় করা কিন্তু আমাকে পাকা বাড়ি তৈরি করে বসবাস করতে দিচ্ছে না আবু কালাম ব্যাপারীর পরিবার।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ মতে, অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ১৮ জুন ১৯৯০ সালে ১৫০৪ নং দলিল মূলে ৫৮নং দাগে১৮ শতাংশ জমি আরেকজন বিবি ও মাইনুদ্দিন চৌকিদার সাব ক্রয় করে বসবাস করে আসছে। কখনো এই জমি নিয়ে কারো কোন আপত্তি বা অভিযোগ ছিল না।
সূত্র মতে জানা যায়, আলেকজান বিবির নামে রেকর্ড, নাম জারি, খাজনা খতিয়ান সকল কিছুর মূলে বৈধভাবে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে বসবাস করে আসছেন আলেকজানের পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের বাসিন্দা পিতা: মৃত্যু কদমআলী চৌকিদার, (ছেলে), মাযহারুল ইসলাম মিলন বলেন, ক্রয় সূত্রে এই জমির মালিক আলেকজান বিবি কিন্তু অন্যায় ভাবে দাবি করছেন আবু কালাম ব্যাপারীর পরিবার। স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার বেপারী পিতা: মৃত্যু, মঙ্গল বেপারী এবং মিস্টার বেপারী পিতা :ইয়াদ আলী বেপারী এদের বক্তব্য মতে, সাব ক্রয় সূত্র জমির মালিক আলেকজান বিবি কিন্তু এই জমি দাবি করেন আবু কালাম বেপারি, লায়লা বেগম,অজুফা বেগম। এই ঝামেলা নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বিচার সালিশ করা হয়েছে। এতে মূল দলিল ঘাটলে দেখা যায় অজুফা বেগমের পরিবারের নামে কোন জমি নাই। তবুও সালিশরা ভবিষ্যতে যাতে কোন সমস্যা না হয় তাই তারা ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করতে বলেন বলেন অজুফা বেগমকে। আলেকজান বিবি তাতেই রাজি হয়ে যান এবং ৩০ হাজার টাকা বায়না ও প্রধান করেন আবু কালাম ব্যাপারীর কাছে। তবে পুরো টাকা দেব আলেকজান বিবি বলেন আমার নামে জমি লিখে দিতে হবে।
ভুক্তভোগী আলেকজান বিবি বলেন, ৩০ হাজার টাকা বায়না প্রধান করিয়া আমার নামে জমি লিখে দিতে বলাতে, তাদের নামে কোন জমি নাই তাই তারা চালখাটিয়ে অন্য জমির মামলার সাথে এই জমির দাগ বসিয়ে দেন। কাগজপত্র তৈরি করে এই জমির বিরুদ্ধে আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা করেন। পরে আদালতের আদেশ মান্য করে ( আলেকজান বিবি) কাজ বন্ধ রাখি। উকিল ধরিয়া কোটে তার সঠিক কাগজপত্র বিচারকের সামনে উপস্থাপন করিলে বিচারক নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেন। তারপর কাজ শুরু করলে অজুফা বেগমের পরিবার বাধা দেয়। স্থানীয় লোকজন আলেকজান বিবির পক্ষে কথা বলে কাজ করার পরামর্শ দেন এটা টের পেয়ে অজুফা বেগম চিকন্দি দেওয়ানী কোর্টে তাহার অনান্য পৈত্রিক জমি নিয়ে দেওয়ানী মোকদ্দমা করেন যাহার নম্বর দঃ মোকদ্দমা ৬৬৮/২১।ওই মোকদ্দমায় এই বাড়িতে ৩ শতাংশ জমি দাবী করে। আলেকজান বিবি বলেন ৩ শতাংশ দাবি করলেও ১৮ শতাংশের মধ্যেও কোন কাজ করতে দেয় না ওযুফা বেগমের পরিবার। পেশী শক্তির বলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অজুফার পরিবার। আলেকজান বিবি ২০ লাখ টাকা না মানিয়া ২০২১ সালে জাজিরা থানায় অভিযোগ করলে, তৎকালীন হাফিজুর রহমান বাড়িতে কাজ করার জন্য হুকুম দেন। কাজ করা শুরু করলে অজুফার পরিবার শরীয়তপুর জেলা ডিবি অফিসে মিথ্যা অভিযোগ করে। ডিবি পুলিশ এনে কাজ বন্ধ করে দেন। ডিবি পুলিশ উভয় পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে শরীয়তপুর ডিবি অফিসে ডাকেন এতে করে বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আলেকজান বিবি উপস্থিত হলেও অজুফা বেগম কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি বরংচ ১ সপ্তার সময় চান। আলেকজান বিবির বক্তব্যে তিনি বলেন, এভাবে মিথ্যা মামলার ঝামেলায় পেচিয়ে ৪ বৎসর কেটে যায় এতে করে আমার পাকা বাড়ি তৈরি করার সরঞ্জাম সব নষ্ট হয়ে যায়। বিচার সালিশ থেকে শুরু করে পাকা ঘর তৈরি করার সামগ্রি নিয়ে ১০/১২ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। আলেকজান বিবি আরো জানান, অজুফা বেগমের মেয়ে লায়লা জসিম মল্লিক নামে তার মামাতো ভাইকে দিয়ে আমাদের বাড়ির জমির উপর মিথ্যা মামলা করিয়েছে জাল কাগজ বানিয়ে। আমাকে হয়রানি করার জন্য সে মামলা নং ৪৪৯/২২জাল কাগজ দিয়ে আদালতে বাড়ির উপর নিষেধাজ্ঞা চাইলে আদালত আবেদন পর্যবেক্ষণ করে আবেদনটি ভুয়া বলে খারিজ করে দেন।আলেকজান বিবি বলেন, আমাকে অনেক হয়রানি করছে এবং আমার অনেক টাকা ক্ষয় ক্ষতি করছে তাই আমি জাজিরা থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অজুফা বেগম এবং লায়লা বেগম এর পরিবারের কাছে জানতে চাইলে, তারা কোন কথা বলতে রাজি হননি।
থানা সূত্রে জানা যায়, জাজিরা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুলাল আকন্দ বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আলেকজান বিবি। আমরা সেটা আমলে নিয়েছি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেব।
এসআই
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT