Menu
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার (৬ এপ্রিল) সকালে জাজিরা থানার উপপরিদর্শক( এসআই) সঞ্জয় কুমার দাস বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেছেন।
এর আগে শনিবার সকালে বিলাসপুর ইউনিয়নের দুর্বাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
মামলায় আসামি হিসেবে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ৮০০ থেকে ১০০০জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিলাসপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ৭জনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ঢাকা থেকে র্যাবের একটি দল বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারীকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষ শতাধিক হাতবোমা এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ঘটনায় ১৫ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ককটেলের আঘাতে মারুফ (২৫) নামের এক তরুণের কব্জি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হাসান মুন্সী (৫০) নামের এক ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতসৃষ্টি হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর অনেকেই স্থানীয় হসপিটাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জাজিরা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থক বিলাসপুর (ইউপি) চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী ও পরাজিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জলিল মাদবরের মধ্যে এলাকার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ কারণে গত দুই বছরে ওই এলাকায় অন্তত দশ বার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে করে বিলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস ব্যাপারী এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জলিল মাদবর উভয়ই কারাগারে যায়।কিছুদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী জামিনে ছাড়া পেলে ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জলিল মাদবর এখনো কারাগারেই রয়েছে। গতকালকের ঘটনায় দুইজন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
গতকাল সকালে ডুবাডাঙ্গা এলাকায় কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষ শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে। সেখানে দেখা যায় একটি খোলা মাঠে দুই পক্ষের লোকজন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সেখানে অনেকের হাতে বালতি এবং হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বালতি থেকে ককটেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোয়ায় সৃষ্টি করেছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)দুলাল আকন্দ বলেন, বিলাসপুরের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মামলা করেছে পুলিশ। বিস্ফোরক আইনে করা ওই মামলায় দুই পক্ষের ৮৮জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এই মামলার আসামি কুদ্দুস ব্যাপারীকে আটক করেছে। তাকে এখনো পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। ওই মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT