• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ১৫, ২০২১, ০৮:১৯ পিএম
আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির

ঢাকা : আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আবদুল মতিন খসরুর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আদালত বন্ধ বা আদালত খোলা রাখার যে এখতিয়ার সেটা প্রধান বিচারপতির, আমার নয়। কিন্তু আমার বিশ্বাস করোনা ভাইরাসের তীব্রতা বা করোনাভাইরাস যদি কমে যায় এসব বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আবদুল মতিন খসরু সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, খসরু সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৬৯ সাল থেকে। তখন তিনি ছাত্রলীগ করতেন। সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ৫ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন তখন তাকে ছয় মাসের জন্য প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন। তারপর ৯৭ সালের জানুয়ারিতে তাকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পূর্নমন্ত্রী করা হয়েছিলো। ব্যক্তিগতভাবে তিনি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধার। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সময় তিনি তখন মন্ত্রী ছিলেন, আমরা যেখানে কাজ করতাম, কাজ শেষ করে তিনি সন্ধ্যাবেলা আসতেন, আমাদের কাজ শেষ হলে তিনি বাড়ি ফিরতেন। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি অ্যার্ডিন্যান্স বাতিলের সময় জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেটা মনে রাখার মতো। সেদিন তিনি মানুষকে কাঁদিয়ে ছিলেন।

‘সবচেয়ে বড়া কথা তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ অনুসারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ছিল। তিনি আইনজীবী হিসেবে একজন মেধাবী এবং অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান আইনজীবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গণে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি জানি না এই শূন্যতা পূরণ হবে কিনা। তার মৃত্যুতে আমি অত্যন্তভাবে মর্মাহত হয়েছি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আবদুল মতিন খসরুর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতিসহ জানাজায় অংশ নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

জানাজার আগে আবদুল মতিন খসরুর ছেলে আবদুল মুনায়েম ওয়াসিফ তারা বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। জানাজা শেষে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পক্ষ থেকে তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে মাহবুব উল আলম হানিফ, আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি,কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের আইন উপ কমিটি, আবদুল মতিন খসরু অ্যাসোসিয়েটস, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ ও ঢাকা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফা জানাজা শেষে নিজ গ্রামে দাফন করা হবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!