ঢাকা : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার শুনানির সবশেষ ধাপ যুক্তিতর্কের শুনানি হবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই)।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এ মামলায় সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
সোমবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত এ মামলায় ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪৩ জন সাক্ষ্য দেন।
আইনজীবীরা বলেন, যুক্তিতর্কের শুনানির পর মামলা রায়ের পর্যায়ে আসে। এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন এবং সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ পান। তবে, তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারা এ সুযোগ পাবেন না। তাদের পক্ষে এ মামলায় কোনো আইনজীবী রাখার আইনগত সুযোগ নেই। এ মামলায় দুদকের পক্ষে শুনানি করছেন কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এর আগে গত ১৩ এপ্রিল আসামি পক্ষে আইনজীবী নিযোগের আবেদন নাকচ করে পলাতক এ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষগ্রহণ শুরুর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
গত ১৯ জানুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৬ ফেব্রুয়ারি তাদের হাজির হওয়ার নির্দেশ ছিল। গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতির মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে রায় দেন।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার গোপন করা এবং সম্পদের তথ্য আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
সোনালীনিউজ/এমটিআই