ঢাকা : মিতু খুনের পর বাবুল আক্তারের নির্দেশে ইরাদ নামের এক কর্মচারীকে দিয়ে একটি বিকাশ নম্বরে তিন লাখ টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হক।
মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাইফুল সাক্ষ্য দেন।
মিতু হত্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাইফুল আদালতকে বলেন, ‘২০১৬ সালের ৬ জুন- মিতু ভাবি খুনের পরদিন আমার মোবাইলে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে কল আসে। ফোনে আমাকে বলা হয় আপনি কি টাকা পাঠিয়েছেন? কিসের টাকা জিজ্ঞেস করলে বলে এসপি বাবুল আক্তার টাকার কথা বলেনি। তখন কলের লাইন কেটে যায়। দুই-তিনদিন পর আমার অফিস সহকারী মোখলেছুর রহমান ইরাদকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে সমবেদনা জানাতে যাই। সেসময় বাবুল আক্তার ওনার বিনিয়োগ করা টাকা ফেরত চান। একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কোথায় টাকা পাঠাতে হবে সেটা জেনে নিতে বলে। আমি ওই নম্বরটি ইরাদকে দেই। সরলমনে মানবিক দিক বিবেচনা করে ওই টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য আমার একাউন্টসকে নির্দেশনা দেই। পরবর্তীতে ইরাদের মাধ্যমে আমি জানতে পারি তিন লাখ পরিমাণের অর্থ বিভিন্ন নম্বরে বিকাশ করা হয়েছে।’
সাক্ষ্য তিনি আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ৯ মে পিবিআই থেকে আমাকে ওই ঘটনা তদন্তের জন্য ডাকা হয়। তৎকালীন ইন্সপেক্টর সন্তোষ কুমারের জিজ্ঞাসাবাদে চট্টগ্রাম এসে আমি সবকিছু খুলে বলি। ওই সময় আমার ব্যবহার করা একটি মোবাইলও জব্দ করা হয়। পরের দিন ১১ মে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আমার সাক্ষীর জবানবন্দি দেই।’
সাক্ষ্য দেওয়ার পর সাইফুলকে জেরা করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দিন।
এমটিআই