• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১
আনিসুল করিম হত্যা

বিচার চেয়ে আদালতে কাঁদলেন পুলিশ কর্মকর্তার বাবা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১১, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম
বিচার চেয়ে আদালতে কাঁদলেন পুলিশ কর্মকর্তার বাবা

ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম হত্যা মামলায় ১৫ আসামির বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য দেন আনিসুল করিমের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। এ সময় আদালতে কেঁদে ফেলেন তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন ছেলে হত্যার বিচার।

তবে আজ তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ২৯ মে সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন। শেষে তিনি আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চান। ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হলো।’

গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। এই মামলায় আসামিরা হলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন। আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।

আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টায় তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি ৩১তম বিসিএস পুলিশে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত বছরের ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।

তবে এ মামলায় এজাহারে ডা. নুসরাতকে আসামি করা হয়নি। কিন্তু মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। চার্জশিটে তার নাম আসেনি এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!