• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

১৯৮৯ সালের হতাকাণ্ডের রায় হলো ২০২৪ সালে


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৩, ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
১৯৮৯ সালের হতাকাণ্ডের রায় হলো ২০২৪ সালে

সগিরা মোর্শেদ সালাম। ফাইল ছবি:

ঢাকা: ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই রাজধানীতে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যাকাণ্ডের রায় হলো আজ (১৩ মার্চ ২০২৪)। তিন দশকের বেশি সময় আগে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম খুনের ঘটনায় হওয়া মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার অপর তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আলী হোসেন এই রায় দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- নিহতের ভাসুরের শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও শ্যুটার মারুফ রেজা। রায় ঘোষণার সময় সব আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানা দেওয়ার পর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খালাস পাওয়ারা হলেন- সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন ও মন্টু মন্ডল ওরফে কুঞ্জ চন্দ্র মন্ডল। এই তিনজন জামিনে ছিলেন।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন। তবে ওই দিন রায় পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওইদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আজ ১৩ মার্চ ধার্য করেন আদালত।

মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

মামলার নথি অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ সালাম রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সারাহাত সালমাকে আনতে যান। যাওয়ার পথে তিনি স্কুলের কাছাকাছি পৌঁছলে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। আত্মরক্ষার জন্য একপর্যায়ে সগিরা মোর্শেদ দৌড় দিলে তাকে গুলি করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

ঘটনার দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত নারীর স্বামী সালাম চৌধুরী।

ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর গত ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতের জিআর শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। এতে বলা হয়, মূলত পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আসামিরা। পরিকল্পনামাফিক তা বাস্তবায়নের জন্য ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়োগ দেওয়া হয়।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!