ঢাকা : হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়নাল মিয়া, মিলন আহমেদ, আবুল ফজল, কুতুব উদ্দিন, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ছায়েদ আলী, মিজাজ আলী, মতলিব মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আবুল কালাম, জিয়াউর রহমান, আয়াত আলী (পলাতক), ইছাক আলী, জজ মিয়া ও ইব্রাহিম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার মিলন আহমেদ ও হারুন আহমেদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনের পর এ বিরোধ আরও তীব্র হয়। ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হারুন আহমেদসহ ৭-৮ জন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল আহমেদকে দাওয়াত দিতে যান। এসময় পথে মিলন আহমেদের নেতৃত্বে ৪০-৫০ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান।
হামলায় হারুন আহমেদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার শরীরে ৩২টি ফিকলের (সুচালো অস্ত্র) আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ আগস্ট সব আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, আসামিদের মধ্যে আটজন বিচার চলাকালীন মারা যান। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
এমটিআই