• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
এমপি আনার হত্যা

আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু রিমান্ডে


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ১৩, ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতা মিন্টু রিমান্ডে

ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় ডিবি পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

]

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ধানমন্ডি থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এর আগে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহম্মেদ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১২ জুন) বিকেলে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর কাছে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণের পরেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাইদুল করিম মিন্টুকে ডাকা হয়েছে।

এদিকে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আরও নেতা নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমাদের ডিবি লালবাগ বিভাগ মামলাটির তদন্ত করছে। ভারতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। আমাদের দুই দেশের উদ্দেশ্য অভিন্ন। মামলার তদন্তে আমরা আসামিদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতে গ্রেপ্তার আসামির সঙ্গে কথা বলেছি, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার মূল ঘাতক শিমুলসহ অন্যরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা মনে করেছি, ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনেছি, রিমান্ডে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডটি ভারতে যারা ঘটিয়েছেন, মোটা দাগে তারা সবাই বাংলাদেশি। হত্যাকাণ্ডের পর তারা সবাই বাংলাদেশে এসেছেন। এসে হত্যাকাণ্ডের ছবি বা বিভিন্ন বিষয়গুলো বিভিন্নজনের কাছে শেয়ার করেছেন কি-না তা তদন্ত করছি। ছবি বা তথ্য শেয়ার করে আর্থিকভাবে তারা লাভবান হয়েছেন কি-না এবং কাদের কাছ থেকে লাভবান হয়েছেন সবগুলো বিষয় আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি।

হত্যাকাণ্ডে দুই কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়গুলো আমরাও শুনেছি।  

ডিবি প্রধান বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী যিনি শাহীন, তিনি ঢাকা থেকে দিল্লি, কাঠমান্ডু-দুবাই হয়ে আমেরিকায় চলে গেছেন। তাকে ধরতে না পারলেও বাকি আসামিদের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি, অনেককে গ্রেপ্তার করেছি। একজন ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন, একজন কাঠমান্ডুতে। কাঠমান্ডুতে গ্রেপ্তার সিয়াম বর্তমানে ভারতে আছেন। বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহীনের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!