• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

কর্মীরা মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট


আদালত প্রতিবেদক জুন ৩০, ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম
কর্মীরা মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকা : চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও সাড়ে ১৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি কর্মীর মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন উচ্চ আদালত। 

এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদনের শুনানিতে রোববার (৩০ জুন) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দিয়েছেন। সাতদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আদালতকে জানাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী জানান, গত ১৫ বছরে অন্তত তিনবার মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ থাকার পর কর্মীদের বিদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে অসাধু সিন্ডিকেট বা চক্রের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে। ২০১৬ সালে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুললেও রিক্রুটিং এজেন্সির অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আবার ওই দেশে বাংলাদেশিদের শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যায়। গত মার্চে আপাতত আর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নেবেনা বলে ঘোষণা দেয় সে দেশের সরকার। তবে ইতোমধ্যে যারা অনুমোদন বা ভিসা পেয়েছেন তাদের ৩১ মে’র মধ্যে (১ জুন থেকে শ্রমবাজার বন্ধ) সেই দেশে ঢুকতে হবে বলে জানায় মালয়েশিয়া।

আইনজীবী বলেন, বিএমইটি (বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো) থেকে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ কর্মীর ছাড়পত্র নেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ কর্মী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় গেলেও বাকিরা যেতে পারেননি। যদিও তারা সব প্রক্রিয়া মেনে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নেন। এসব প্রতিবেদন যুক্ত করে সম্প্রতি হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি করা হয়। এতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ও বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস) কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়।

ব্যারিস্টার তানভীর বলেন, ‘একমাস পেরিয়ে গেলেও প্রায় ১৭ হাজার কর্মীর এই দুঃখ-র্দশার জন্য কারা দায়ী তা এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। সরকারের তরফে আশ্বাস দিলেও দৃশ্যমান কোনো তদন্ত শুরু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। এজন্য আদালতের দারস্থ হয়েছি।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুষার কান্তি রায় বলেন, ‘আদালত এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের অন্যদেরকে হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি অবহিত করা হবে।’ 

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!