ঢাকা: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় ১৭ জনকে।
শুনানি শেষে তাদের মধ্যে ৭ আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে। বাকি ১০ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন-পিএসসি উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর, নোমান সিদ্দিকী, পিএসসির অবসরপ্রাপ্ত ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী, ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, উপপরিচালক মো জাহাঙ্গীর আলম, পিএসসির সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অডিটর প্রিয়নাথ বায়, মো. জাহিদুল ইসলাম, নিরপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন ও মো মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন, লিটন সরকার ও সৈয়দ সোহানুর।
এদের মধ্যে- সৈয়দ আবেদ আলী, খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, আবু সুলেমান মো. সোহেল, মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাইম হোসেন, লিটন সরকার।তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বেলা দেড়টার দিকে ১৭ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ৩ টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিতে শুরু করেন তারা।
প্রসঙ্গত, বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির দুই উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবিরসহ ১৭ জনকে গ্রপ্তার করেছে সিআইডি। এ তালিকায় পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক ভাইরাল হওয়া সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সোহানুর রহমান সিয়ামও রয়েছেন।
আইএ