Menu
সিরিয়াল কিলার রসু খাঁ। ফাইল ছবি:
ঢাকা: চাঁদপুরের পারভীন হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একই মামলায় অপর দুই আসামি রসু খাঁর ভাগ্নে জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও তার সহযোগী মো. ইউনুছকে (৩৮) মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিচারপতি সৈয়দ মো. জিয়াউল করিম ও বিচারপতি কে এম ইমরুল কায়েশের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
পরকীয়ায় বেদম মার খেয়ে গ্রামের যুবক রসু খাঁর নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল নারীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বা নানা প্ররোচনায় ডেকে নিয়ে হত্যা করা। গলা টিপে কিংবা পানিতে চুবিয়ে ওই নারীদের হত্যা করতেন এই সিরিয়াল কিলার। হত্যা করার আগে তাদের নিজে অথবা সহযোগীদের নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণ করার প্রবণতা ছিল রসুর। ভয়ংকর এই খুনির ফাঁসির আদেশ হয়েছে দুই মামলায়।
২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় টঙ্গী থেকে রসু খাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্রে স্থানীয় এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ডে মুখ খোলেন রসু খাঁ। বেরিয়ে আসে গা শিউরে ওঠা তার সব ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে ১১টি খুনের কথা ওঠে আসে। আরও ১০১ জন নারীকে হত্যা করার পরিকল্পনার কথাও স্বীকার করেন এই কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার।
চাঁদপুরের রসু খাঁর বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর মধ্যে খুলনার পোশাককর্মী শাহিদা হত্যা মামলায় এই খুনির প্রথম মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের রায় আসে আদালত থেকে। ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুণাভ চক্রবর্তী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার রায় দেন।
ওই মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর খুলনার দৌলতপুর এলাকার পোশাককর্মী শাহিদাকে কৌশলে চাঁদপুর সদর উপজেলার সোহবানপুর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পারে নিয়ে হাত-পা বেঁধে হত্যা করে ফেলে যান রসু খাঁ। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন তিনি।
এরপর কারখানার শ্রমিক পারভীন হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ২০১৮ সালের ৬ মার্চ রায়ে রসু খাঁর দ্বিতীয়বারের মতো মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়। রায়ে রসু, তার ভাগ্নে জহিরুল ইসলামসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ইউসুফ নামের অন্য সাজাপ্রাপ্ত আসামি এখনো পালাতক।
এরপর মামলার নথিসহ ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। একই সঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT