• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল


আদালত প্রতিবেদক আগস্ট ১৯, ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

ঢাকা : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. তোফায়েলসহ কয়েকজনের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে আইন সচিব ও সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এ বিষয়ে রিটকারী ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেয় স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনা। সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করে এ সংশোধনী করা হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।  

২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়। সংশধোনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এই সংশোধনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়। এর তিন দিন পর ৩ জুলাই রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করেন। এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।

সংবিধানে ৭ অনুচ্ছেদের পরে ৭(ক) ও ৭(খ) অনুচ্ছেদ সংযোজন করে সংবিধান বহির্ভূত পন্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ করা হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে। সংশোধনীটি উত্থাপন করেন সেই সময়ের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। বিরোধী দল বিএনপির বর্জনের মধ্যে বিলটি ২৯১-১ ভোটে পাস হয়।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!