ঢাকা : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার তথ্য উপাত্ত চেয়ে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন, কবরস্থান, প্রত্যেক ডিসি, এসপি, মিডিয়া হাউসে চিঠি পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, গণহত্যার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে আমরা হাসপাতালগুলোতে গতকাল থেকে পরিদর্শন শুরু করেছি। তদন্ত সংস্থা বিস্তারিত তথ্য তুলে আনবে। আমরা দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানায়, জুলাই আগস্টের গণহত্যার যত তথ্য আছে, সবাই সহযোগিতা করবেন।
প্রধান প্রসিকিউটর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আসামিদের পক্ষে দেশি-বিদেশি সব আইনজীবী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজে অংশ নিতে প্রসিকিউশনের কোনো আপত্তি থাকবে না। তবে এ বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন সরকার বলে জানিয়েছেন।
বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে কত বছর প্রয়োজন হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, এটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করব নিরপেক্ষভাবে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য। এ জন্য দিন রাত প্রসিকিউশন কাজ করে যাবে। নতুন স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, অবদান রেখেছেন সবার রক্তের কাছে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ঘিরে সংগঠিত গণহত্যার তদন্ত চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা ও তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এস তামিম এই আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কয়েকজন মন্ত্রী-এমপি, পুলিশ ও র্যাবের প্রধান, ডিএমপি প্রধান সহ ১৯ জনের যোগসাজশে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। একইসাথে ৭১ টিভিসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই গণহত্যার সহযোগি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ডা. ইমরান এইচ সরকার এবং ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুনকেও এই আবেদনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এমটিআই